এখানের সবগুলো কবিতা অনুবাদ করেছেনঃ ইমরুল হাসান
মেরি‘রে বেক্কল বানানো
তাঁর লগে তার দেখা হইছিলো রেসের ময়দানে, একটা গোলগাল পাছাওলা স্ট্রবেরি
সোনালী-চুলের, ফোলা-বুক, লম্বা ঠ্যাং,
উঁচা নাক, ফুলের মতোন মুখ, পিঙ্ক ড্রেস আর শাদা হাই-হিল পরা।
শে তারে নানান ঘোড়া নিয়া জিগাইতে জিগাইতে
তার দিকে তাকায়া থাকলো তাঁর ফ্যাকাশে ব্লু চোখগুলি দিয়া।
সে কাছের বারের কথা কইলো আর তারা একটা ড্রিঙ্ক খাইলো, তারপরে
পরের রেসটা একলগে দেখলো।
সে সিক্সটি-টু-ওয়ান শটে ফিফটি-উইন হিট করলো আর শে
ফাল দিয়া উপ্রে উঠলো আর নামলো।
তারপরে শে তার কানে কানে কইলো,
“তুমি তো ম্যাজিক ম্যান! আমি চুদতে চাই তোমারে!”
সে মুচকি হাইসা কইলো, “আমিও চাই, কিন্তু
মেরি… আমার বউ…”
শে হাসছিলো, “আমরা একটা মোটেলে যামু!”
তো, তারা টিকেট ক্যাশ করলো, পার্কিং লটে গেছিলো,
তাঁর গাড়িতে উঠলো। “আমি তোমারে ড্রাইভ কইরা দিয়া যাবো
আমাদের কাম শেষ হইলে,” শে হাইসা কইছিলো।
পশ্চিম দিকে এক মাইল যাওয়ার পরে অরা একটা মোটেল পাইলো। শে পার্ক করলো, অরা বাইর হয়া আসলো, ৩০২ নাম্বার রুমে গেলো।
যাওয়ার পথে একটা জ্যাক ডেনিয়েলের বোতলের লাইগা
অরা থামলো। সে খাড়াইলো আর কাগজের মোড়ক থিকা গ্লাসগুলি বাইর করলো। যখন শে
ন্যাংটা হইতেছিলো সে দুই গ্লাসে ঢাললো।
অর ছিলো খুবই সুন্দর কচি একটা শরীর। শে বিছনার কোণায়
বইসা দেখতেছিলো যখন সে ন্যাংটা হইতেছিলো। তার অস্বস্তি লাগতেছিলো, মোটা আর বুড়া সে
কিন্তু সে জানতো সে আছিলো লাকি: এইটা হইতে যাইতেছে তার জীবনের
সবচে
সেরা দিন।
তখন সে তাঁর লগে বিছনার কোণায বসলো
তার জ্যাক ডেনিয়েল নিয়া। শে হুমড়ি খায়া
তার দুই ঠ্যাংয়ের মাঝখানে ধইরা বসলো, উল্টাইলো
আর তার নিচে চইলা গেলো।
সে তারে চাদরের নিচে টাইনা নিলো আর তারা
আরো কিছুক্ষণ খেললো।
শেষমেশ, সে তাঁর উপরে চড়লো আর এইটা ছিলো গ্রেট, এইটা ছিলো
পুরা মিরাকল, কিন্তু খুব তাড়াতাড়িই এইটা শেষ হয়া গেলো, আর যখন শে
বাথরুমে গেলো সে আরো দুইটা ড্রিঙ্কস ঢাললো
ভাবতেছিলো, ভালো কইরা গোসল করতে হবে, তাইলে মেরি
কখনোই
বুঝতে পারবো না।
শে বাইর হয়া আসছিলো আর অরা বিছনায় বইসা
এইটা সেইটা কইতেছিলো।
“আমি এখন গোসল করতে যাই,” তাঁরে সে কইছিলো
“তাড়াতাড়ি চইলা আসবো আমি।”
“ও.কে., সোনা,” শে কইছিলো।
সে গোসলে ভালো কইরা সাবান মাখতেছিলো, সব পারফিউম মুছে দিতেছিলো,
মেয়েলি-গন্ধগুলা।
“তাড়াতাড়ি আসো, ড্যাডি!” সে শুনলো শে কইতেছে।
“এই যে আসতেছি, বেবি!” সে শাওয়ার থিকা চিল্লাইলো।
সে বাইর হইলো, টাওয়াল প্যাঁচাইলো, তারপর বাথরুমের দরজাটা
খুললো আর বাইরে পা রাখলো।
মোটেল রুমটা খালি।
চইলা গেছে শে।
কোন একটাকিছু মনে হওয়াতে সে ক্লজেটে গেলো,
দরজা’টা খুইলা
ধরলো: কোট হ্যাঙ্গারগুলি ছাড়া আর কিছু নাই।
তখন সে দেখলো তার কাপড়গুলিও নাই,
তার আন্ডারওয়্যার, তার শার্ট, গাড়ির চাবি আর মানিব্যাগসহ তার প্যান্ট,
সব টাকাপয়সা, তার জুতা, তার মোজা
সবকিছু।
আবার কিছু মনে হওয়াতে বিছনার নিচে উঁকি দিলো
সে।
কিছুই নাই।
তখন সে দেখলো জ্যাক ডেনিয়েলের বোতল’টা
হাফ ভরা,
ড্রেসিংটেবিলের সামনে দাঁড়ায়া।
সে হাঁইটা গেলো আর একটা ড্রিঙ্ক ঢাললো।
যখন সে ঢালতেছিলো সে দেখলো হিজিবিজি কইরা লেখা
ড্রেসিংটেবিলের
আয়নায় পিঙ্ক কালারের লিপস্টিক দিয়া: ধইনচা!
সে হুইস্কিটা খাইছিলো, গ্লাসগুলি নামায়া
দেখতেছিলো নিজেরে
আয়নার ভিতরে, অনেক মোটা, অনেক টার্য়াড, অনেক বুড়া।
এরপরে কি করবে সে বুঝতেছিলো না।
সে হুইস্কিটা নিলো, বিছনায় ফেরত গেলো, বসলো
বোতলটা তুইলা ধরলো আর চুমুক দিলো সেইটাতে যখন
আলো আসতেছিলো
বড় রাস্তা থিকা জানালার ময়লা পর্দাগুলির ভিতর দিয়া। তখন সে খালি বইসা থাকলো
আর তাকায়া থাকলো বাইরে আর দেখতেছিলো গাড়িগুলি
চইলা যাইতেছে আর
আসতেছে।
নরক একটা একলা জায়গা
তার বয়স আছিলো ৬৫, তার বউয়ের ৬৬, ছিলো
আলঝাইমার রোগ।
তার ক্যান্সার আছিলো
মুখে।
হইছিলো
অপারেশন, রেডিয়েশন
চিকিৎসা-পাতি
যা হাড়গুলিরে ক্ষয়া দিছিলো তার
চোয়ালে
যেইখানে পরে লাগাইতে হইছিলো
তার।
ডেইলি সে তার বউরে রাখে
রাবারের ডায়াপারে
একটা বাচ্চার
মতোন।
ড্রাইভ করতে না পাইরা তার
এই কন্ডিশনে
তার ট্যাক্সি নেয়া লাগে
যাওয়ার লাইগা মেডিকেল
সেন্টারে,
কথা কইতে পারতো না,
লেইখা
দিতে হইতো ডিরেকশনগুলি।
লাস্ট বার ভিজিটের সময়
অরা তারে কইছিলো
আরেকটা লাগবো
অপারেশন: আরেকটু
বামদিকের
গালে আর একটু
জিহ্বাতে।
যখন সে ফিরা আসছিলো
সে চেইঞ্জ কইরা দিছিলো তার বউয়ের
ডায়াপার
টিভিটা ছাড়লো
ডাইনিংয়ে, দেখলো
সন্ধ্যার খবর
তারপরে গেলো
শোবার ঘরে, নিলো
পিস্তলটা, ঠেকাইলো তার
কপালে, গুলি কইরা দিলো।
শে পইড়া গেলো
বামপাশে, সে বসছিলো
সোফার উপরে
পিস্তলটা রাখলো তার
মুখে, টাইনা দিলো
ট্রিগারটা।
এই গোলাগুলি জাগায় নাই
পাড়া-প্রতিবেশীদের।
পরে
ডাইনিংয়ের পুড়া টিভিটা
করছিলো।
কেউ একজন আসছিলো, ধাক্কা দিয়া
খুলছিলো দরোজাটা, দেখছিলো
এইটা।
সাথে সাথে
পুলিশ আসছিলো আর
তাদের রুটিনের ভিতর দিয়া
গেছিলো, কিছু জিনিস
পাইছিলো:
একটা বন্ধ করা সেভিংস
অ্যাকাউন্ট আর
একটা চেকবুক যেইখানে
ব্যালেন্স আছিলো
$ ১.১৪
সুইসাইড, উনারা
সাব্যস্ত করলো।
তিন সপ্তাহের মধ্যে
এইখানে দুইজন
নতুন ভাড়াটিয়া আসলো:
একজন কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ার
নাম
রস
আর অর বউ
আনাতানা
যে শিখে
ব্যালে।
অদেরকে দেখতে লাগতো আরেকটা
উঁচাঘরের চঞ্চল
জোড়ার মতোন।
পাপীদের প্লেজারগুলি
পাপীদের প্লেজারগুলি
হইতেছে খালি ছোট্ট মোমেন্টগুলি
খুশির:
একটা কুত্তার চোখগুলিতে থাকা লুকটার মতোন,
মোমবাতির একটা চারকোণার মতোন,
সিটি হলে একটা আগুন লাগার মতোন,
গ্রাম-গঞ্চ,
মহাদেশ,
কুমারী আর মনস্টারদের
চুলে আগুন লাগার মতোন;
আর চিলগুলি উড়তেছে পিচ গাছগুলির উপরে,
তাদের নখগুলির মধ্যে দৌড়ইতেছে সমুদ্র,
সময়
মাতাল আর মনমরা,
সবকিছু ভিজতেছে,
সবকিছু পুড়তেছে,
সবকিছু ঠিকাছে।
কেনোগাপার্কে যেই ইয়াং মহিলাটা থাকে
শে খালি তারেই লাগায় যারে শে
বিয়া করতে চায় না।
অন্যদেরকে শে কয়
আমারে বিয়া করা লাগবে।
অথবা হইতে পারে শে তারেই চুদে যারে তাঁর
চুদতে ইচ্ছা করে?
শে খোলাখুলই এইটা নিয়া কথা বলে
আর শেষে একটা অ্যাপার্টমেন্টে থাকে
লাল-চুলওলা একটা ৯-বছরের পোলার লগে
আর একটা ৭-মাস-বয়েসী বাচ্চার লগে।
শে চাইল্ড সার্পোটের টাকা পায়
আর যখন শে চাকরি করে
শে চাকরি করে ফ্যাক্টরিগুলিতে অথবা একজন
ককটেল ওয়েট্রেস হিসাবে।
তার ৬০ বছর বয়েসী একটা বয়ফ্রেন্ড আছে
যে দিনে এক জগ ওয়াইন খায়
একটা ঠ্যাং ভাঙ্গা
আর ওয়াইএমসিএ’তে থাকে।
শে ডোপ নেয়, বেশিরভাগ গাঞ্জাই
বড়ি খায়
কালা চশমা পিন্দে
আর কথা কইতেই থাকে কইতেই থাকে কইতেই থাকে
আপনার দিকে না তাকায়া আর
একটা লম্বা গুটির নেকলেস নাড়াইতে থাকে তাঁর
চিকন
নার্ভাস আঙুলগুলি দিয়া।
রাজহাঁসের মতোন একটা গলা অাছে তাঁর,
হয়তো একটা মুভিস্টার হইতে পারতো,
দুইবার পাগলাগারদে ছিলো,
এক মা আছে পাগলাগারদে,
আর এক বইন আছে জেলখানায়।
আপনি কখনোই জানেন না কখোন শে হয়া যাইতে পারে
পাগল আবার আর
ছোট মুঠিগুলি ছঁুড়তে থাকবে
আর রাত ৩টার সময় আপনারে ফোন দিবো।
বাচ্চাগুলি চাকা-লাগানো খেলনা দিয়া ঘুরে অ্যাপার্টমেন্টে
আর শে চুদতে থাকে অথবা চুদে না,
একটা এক্সারসাইজ চার্ট আছে তার ওয়ালে
এইদিকে বা এইদিকে বেন্ড করার
পায়ের পাতা ধরার
ফাল দেয়ার
স্ট্রেচ করার আর এইরকম
কিছু। শে ডোপ থিকা ধর্মে যায়
আর ধর্ম থিকা ডোপে ফিরা আসে আর
কালা বেটাদের থিকা শাদা বেটাদের কাছে আর যায়
শাদা থিকা
কালায় আবার।
যখন শে তাঁর কালা চশমা খুলে
তাঁর চোখগুলি নীল
আর শে হাসার ট্রাই করে
যখন শে নেকলেসটারে টুইস্ট করতে থাকে
চারপাশে আর চারপাশে।
এইটার শেষে ৩টা চাবি আছে:
অর গাড়ির চাবি
অর অ্যাপার্টমেন্টের চাবি
আর আরেকটা নিয়া আমি কখনোই
জিগাই নাই তারে।
শে হাল ছাইড়া দেয় নাই,
শে এখনো মারা যায় নাই,
শে এমনকি বুড়াও হয় নাই,
অর এয়ারকন্ডিশনারটা কাজ করে না
আর এইসবকিছুই আমি জানি
অর সম্পর্কে কারণ আমি তাদের একজন
যারে শে চায়
বিয়া করতে।
বাঁক
ড্রাইভ কইরা পার্কিং লটে শে যখন আইলো
আমি আমার গাড়ির পিছনে হেলান দিয়া ছিলাম।
মাতাল আছিলো শে আর তার চোখগুলি পানিতে ভিজা
“শুয়োরের বাচ্চা, যখন তুই আমারে চুদতে চাস নাই
তখন চুদছস। আমারে বলছোস ফোন করার লাইগা
তোরে, আমারে বলছোস শহরের কাছে চইলা আসার লাইগা,
তারপরে তুই কইলি তোরে ছাইড়া যাইতে।”
এইটা অনেক ড্রামাটিক হইতেছে আর আমি এনজয় করতেছি
“আচ্ছা, ঠিকাছে, তাইলে কি চাও তুমি?“
“আমি তোমার সাথে কথা কইতে চাই, আমি তোমার ঘরে যাইতে চাই
আর কথা কইতে চাই তোমার লগে…“
“আমি তো এখন আরেকজনের লগে আছি। শে একটা স্যান্ডউইচ আনতে গেছে।“
“আমি তোমার লগে কথা কইতে চাই… সবকিছু কাটায়া উঠতে
একটু টাইম তো লাগে। আমার আরো টাইম দরকার।“
“ঠিকাছে। শে না আসা পর্যন্ত থাকো। আমরা তো আর
অমানুষ না। আমরা একলগে একটু মদ খাইলাম।“
“ছিঃ “শে কইলো“ ওহ, ছিঃ!“
শে ফাল দিয়া তার গাড়িতে উঠলো আর চইলা গেলো।
আরেকজন বাইর হয়া আসলো “কে ছিলো এইটা?“
“এক এক্স-ফ্রেন্ড।“
এখন শে চইলা গেছে আর আমি বইসা আছি এইখানে মাতাল হইয়া
আর আমার চোখগুলি মনে হইতেছে কান্দার পানিতে ভিজা।
খুব শান্ত একটা ব্যাপার আর আমার মনে হইলো একটা বর্শা
গিয়া বিধঁলো আমার নাড়িভূঁড়িতে।
আমি বাথরুমে হাঁইটা গেলাম আর বমি করলাম।
মাফ করা, আমি ভাবি, এই হিউম্যান রেইস কি
জানে কিছু
মাফ করা নিয়া?
আমার অমরত্বের উপর একটা থ্রেট
শে কাপড় খুলতেছিলো আমার সামনে
তার ভোদাটা আমার সামনে রাইখা
আর আমি একটা বিয়ারের বোতল হাতে নিয়া শুইয়াছিলাম
বিছানায়।
এই আঁচিলটা কেমনে হইলো
তোমার পাছায়? জিগাইছিলাম আমি।
এইটা আঁচিল না, শে কইছিলো,
এইটা একটা তিল, এক রকমের
জন্মদাগ।
এইটা দেখলে আমার ডর লাগে, আমি কইছিলাম
বাদ দেই
এইটা।
বিছানা থিকা উইঠা আমি
আরেকটা রুমে হাঁইটা গেলাম আর
দোলনা চেয়ারে বসলাম
আর দুলতে লাগলাম।
শে বাইর হয়া আসছিলো। এখন, শোন,
বুড়াভাম একটা। তোর তো সারা গায়ে
আঁচিল আর দাগ আর নানান জিনিসে ভরা।
আমার মনেহয় আমার দেখা সবচে কুৎসিত
বুড়া বেডাটা হইতোছস
তুই।
বাদ দাও, আমি কইছিলাম, আমারে আরো কিছু কও
তোমার পাছার তিলটা
নিয়া।
শে হাঁইটা আরেকটা রুমে চইলা গেলো
ড্রেস পড়লো আর আমার সাইড দিয়া দৌড়াইয়া গিয়া
ঠাস কইরা দরজাটা লাগাইলো
আর গেছিলো
চইলা।
আর ভাবছি
শে আমার সবগুলি বইও পড়ছে
কবিতার।
আমি জাস্ট ভাবলাম শে হয়তো কইবো না
কাউরে যে
আমি দেখতে সুন্দর আছিলাম না।
এক পাঁক
আমার বিছানা থিকা
আমি দেখতেছি
৩টা পাখি
একটা টেলিফোনের
তারের উপর।
একটা উইড়া
গেলো।
তারপরে
আরেকটা।
একটা বাকি থাকলো,
তারপরে
ওইটাও
গেলো গা।
আমার টাইপরাইটারটা
গোরস্তানের পাথর
চুপচাপ।
জাস্ট ভাবলাম আমি
তোমারে এইটা
জানায়া রাখি,
চুতমারানি।
লি পো ভুল কইছিলো?
তুমি জানো লি পো কি কইছিলো যখন তারে জিগানো হইছিলো
সে কি হবে
আর্টিস্ট নাকি ধনী?
“আমি বরং ধনী হবো,” সে জবাব দিছিলো, “কারণ আর্টিস্টদেরকে
এমনিতে পাওয়াই যায়
ধনীদের
দরজার সামনে বইসা থাকে।”
আমি বইসা থাকতাম কিছু দামি আর অবিশ্বাস্য ঘরগুলির দরজায়
নিজে
কিন্তু কোন না কোনভাবে আমি সবসময় অপদস্ত কইরা ফেলতে পারতাম নিজেরে আর/অথবা অপমান করতে পারতাম
আমার ধনী হোস্টরে
(বেশিরভাগ সময় তাদের ভালো মদগুলি অনেক পরিমাণ খাওয়ার পরে)
এমন কি হইতে পারে যে আমি ধনীদেরকে ডরাই?
তখন যা কিছু আমি জানতাম ছিলো গরিবি আর খুবই গরিব,
আর আমি এমনিতেই জানতাম যে ধনীদের এতো ধনী হওয়াটা ঠিক না,
যে, এইটা ছিলো ভাগ্যের
কোন চালাকি
যেইটা খুবই অসৎ আর
ঠিক না।
অফকোর্স, যে কেউ একই কথা কইতে পারে
গরিবদেরকে নিয়া,
আর এতো এতো গরিব মানুষ আছে, এইখানে
কোন সামঞ্জস্যই নাই।
আর এই কারণে যখন আমি, একজন আর্টিস্ট হিসাবে, যাই
ধনীদের বাড়িতে, আমার খারাপ লাগতো থাকতে
সেইখানে, আর আমি অনেকবেশি খাইতাম অদের ভালো ওয়াইনগুলি,
ওদের দামি গ্লাসের জিনিসগুলি আর অ্যাণ্টিক ডিসগুলি ভাঙতাম,
অদের পার্সিয়ান কার্পেটগুলিতে সিগ্রেটের পোড়া দাগ করতাম আর
অদের বউদেরকে ধইরা থ্যাঁতলাইতাম,
পুরা জঘন্য সিচুয়েশনটাতে বাজেভাবে রিঅ্যাক্ট
করতাম।
যদিও আমার কোন পলিটিক্যাল বা সোশ্যাল সলিউশন ছিলো না।
আমি জাস্ট একজন বাজে মেহমান ছিলাম,
আমার মনেহয়,
আর কিছু সময় পরে
আমি নিজেরে আর ধনীদেরকে বাঁচায়া দিছিলাম
অদের দাওয়াতগুলি
কবুল না কইরা
আর সবাই ভালো ফিল করা শুরু করলো
এরপরে।
আমি আবার একলা একলা
মদ খাওয়ায় ফিরা গেলাম,
আমার শস্তা গ্লাসের জিনিসগুলি ভাঙতে থাকলাম,
রুমটা ভইরা তুললাম সিগার
ধোঁয়া দিয়া আর খুবই
ভালো লাগতো
ট্রাপড ফিল হওয়া,
ইউজড হওয়া,
মুতার জিনিস হওয়া,
চুদা খাওয়ার চাইতে।
ব্লু মুন, ও ব্লুউউউউউ মুওওওওন
আমি যে কতো ভালোবাসি তোমারে!
আমি তোমারে যতন করি, জান, আমি ভালোবাসি তোমারে,
আমি এল.’রে চুদছিলাম একমাত্র কারণ তুমি চুদছিলা
জেড.’রে আর এরপরে আমি আর.’রে চুদছিলাম আর তুমি চুদছিলা এন.’রে
আর যেহেতু তুমি এন.’রে চুদছিলা আমার চুদা লাগছিলো ওয়াই.’রে। কিন্তু আমি সবসময় তোমার কথা ভাবি, আমি ফিল করি তোমারে
আমার পেটের ভিতরে একটা বাচ্চার মতোন, প্রেম আমি বলি তারে,
যা কিছুই ঘটুক না কেন আমি তারে বলি প্রেম, আর তখন
তুমি সি.’রে চুদলা আর এরপরে আমি যাওয়ার আগেই
তুমি ওয়াই.’রে চুদলা, আর তখন আমার ডি.’রে চুদা লাগলো। কিন্তু
আমি তোমারে জানাইতে চাই যে আমি ভালোবাসি তোমারে, আমি ভাবি তোমার কথা
সবসময়, আমার মনেহয় আমি কাউরেই এমন কইরা ভালোবাসি নাই
যেইরকম আমি ভালোবাসি তোমারে।
বুউ ওউ বুউ ওউ ওউ
বুউ ওউ বুউ ওউ ওউ
আই লাভ ইউ
এই ঝুপড়ি’র দরজাটা আমি খুলছিলাম আর দেখছিলাম সেইখানে শে শুইয়া আছে
সেইখানে শে শুইয়া আছে
আমার প্রেম
একটা ময়লা গেঞ্জি-পরা একটা লোকের পিছনে।
আমি আছিলাম রাফ-টাফ টাকা-পয়সা-নিয়া-বিন্দাস (এইটাই আমি)
আর আমি অদের দুইজনরে জাগাইলাম
গডের মতোন
আর যখন শে জাইগা উঠছিলো
শে চিল্লানি শুরু করলো, “হ্যাঙ্ক, হ্যাঙ্ক!” (এইটা আমার আরেকটা নাম)
“এই চুতমারানির কাছ থিকা আমারে নিয়া যাও
আমি অরে হেইট করি আমি তোমারে ভালোবাসি!”
অবশ্যই, এইগুলি বিলিভ না করার মতো বুদ্ধি আমার
আছিলো আর আমি বসছিলাম আর কইছিলাম,
“আমার একটা ড্রিঙ্ক দরকার, আমার মাথা-ব্যথা করতেছে আর আমার একটা ড্রিঙ্ক দরকার।”
প্রেম এইভাবে কাজ করে, দেখেন আপনে, আর তখন আমরা সেইখানে বসলাম
হুইস্কি খাইলাম আর আমি একদম স্যাটিসফাইড ছিলাম
আর তখন সে খুঁইজা পাইতা একটা পাঁচ ডলার বাইর কইরা আমারে দিলো,
“ও যা আনছিলো তার থিকা এইটুকই বাঁচছে, এইটাই আছে খালি, তোমার থিকা যা শে আনছিলো।”
আমি সোনার ডানাওলা কোন ফেরেশতা না কূপনগুলি দিয়া ছিঁবড়া বানানো,
আমি পাঁচ ডলার নিয়া অদেরকে ওইখানে রাইখা চইলা আসছিলাম
আর আমি সরুগলি’টা দিয়া হাঁইটা
আলভারাডো স্ট্রীটে আইছিলাম
আর তারপরে বামে ঘুইরা
পয়লা বার’টাতে
ঢুকলাম।
মদখোর
জেন, যে মারা গেছে ৩১ বছর আগে
জীবনে কোনদিন
ভাবতে পারে নাই যে আমি একটা সিনেমার স্ক্রীপ্ট লিখমু
আমাদের একলগে
মদ খাওয়া-খাওয়ির
দিনগুলি নিয়া
আর
এইটা নিয়া একটা সিনেমা বানানো হইবো
আর
একটা সুন্দরী মুভি স্টার তাঁর রোল করবো।
আমি শুনতে পাইতেছি জেন কইতেছে এখন: “একটা সুন্দরী মুভি স্টার? হাহ্,
হায় খোদা!”
জেন, এইটা হইতেছে শো’বিজ, সো ঘুমাইতে যাও, জান, কারণ
অরা যতোই ট্রাই করুক অরা
কোনদিনই খুঁইজা পাইবো না কাউরে
তোমার মতোন।
আর না কোনদিন পাবো
আমি।
যখন তুমি ওয়েট করতেছো ভোরের হামাগুড়ি দিয়া আসার, পর্দার ভিতর দিয়া
যেইভাবে একটা ছিনতাইকারী নিয়া যাবে আইসা তোমার লাইফ
পর্দার ভিতর দিয়া যেইভাবে একটা ছিনতাইকারী আইসা নিয়া যাবে তোমার লাইফ
সাপটা আস্তে আস্তে ঢুকে গেছিলো গর্তে,
আর শে কইছিলো,
তোমার নিজেরে নিয়া
কিছু বলো আমারে।
আর
আমি কইছিলাম,
আমি মাইর খাইছিলাম
অনেকদিন আগে
একটা গলিতে
আরেকটা
দুনিয়ায়।
শে কইছিলো,
আমরা সব
শুয়োরের মতোন
কোন না কোন গলিতে থাপ্পড় খাইতেছি,
আমাদের
ঘাসের ব্রেইনগুলি
গান গাইতেছে
ব্লেডগুলির
দিকে মুখ কইরা।
আল্লার
কসম,
তুমি তো একটা
আজব মাল,
আমি কইছিলাম।
আমরা
বইসাছিলাম ওইখানে
টানতেছিলাম
সিগ্রেট
৫টার
সময়
সকালবেলায়।
হিউম্যান ন্যাচার
কিছুদিন ধইরা এই ঘটনা’টা ঘটছিলো।
রেসের ময়দানে
যেইখানে আমি কফি খাইতাম সেইখানে এই ইয়াং ওয়েট্রেস আছিলো।
“দিন কেমন যাইতেছে তোমার?” শে জিগাইলো।
“অনেক জিততেছি আমি,” আমি উত্তর দিলাম।
“গতকালকেও জিতছিলা তুমি, তাই না?” শে জিগাইলো।
“হ,” আমি কইলাম, “আর তার আগের দিনও।”
আমি জানি না এইটা ঠিক কী জিনিস কিন্তু আমার
মনেহয় আমাদের পারসোনালিটি মিলে না
আর কি। ভিতরে ভিতরে সবসময় একটা শত্রুভাব
থাকে আমাদের কথা-বার্তার ভিতর।
“তুমি মনেহয় একমাত্র লোক এইখানে
যে খালি জিততেই থাকে,”
শে কয়, আমার দিকে না তাকায়া
অখুশি হইয়া।
“তাই নাকি?” আমি উত্তর দেই।
এইটা আজিব ব্যাপার একটা:
যখনই আমি হারি
তারে দেখি না
কোথাও।
হইতে পারে অর ওইদিন ছুটি থাকে বা অনেকসময় হয়তো শে
কাজ করে
অন্য কাউন্টারে?
শেও বাজি ধরে আর হারে।
শে সবসময় হারে।
আর যদিও হয়তো
আমাদের পারসোনালিটি মিলে না আমার খারাপ লাগে
অর লাইগা।
আমি ঠিক করলাম পরেরবার যখন অর লগে দেখা হইবো
আমি অরে বলবো যে আমি
হারছি।
সেইটাই করলাম আমি।
যখন শে জিগাইলো, “কেমন চলতেছে তোমার?”
আমি কইলাম, “আল্লা, আমি বুঝতে পারতেছি না,
আমি খালি হারতেছি, কোনটাই হিট করতে পারতেছি না, যেই ঘোড়াতেই আমি বেট ধরি
লাস্ট হয় সেইটা!”
“সত্যি?” শে জিগাইলো।
“সত্যি” আমি কইলাম।
এইটা কাজ করলো।
শে তাঁর চোখ নামাইলো
আর ভাইসা উঠলো আমার দেখা
তাঁর সবচে বড় হাসিটা, তার চোখমুখ
বড় বড় হয়া গেলো।
আমি কফিটা নিলাম, অরে বকশিস দিলাম, হাঁইটা
বাইর হয়া আসলাম
বাজির বোর্ডটা দেখার লাইগা।
যদি আমি ফ্রিওয়েতে একটা জঘন্য ক্রাশে মারা যাই
আমি শিওর শে পুরা এক সপ্তাহের লাইগা
খুশি থাকবো!
আমি কফিতে একটা চুমুক দিলাম।
এইটা কি?
শে পুরা একটা লার্জ শট ক্রিম দিছে!
শে জানে আমি ব্ল্যাক পছন্দ করি!
তার একসাইটমেন্টে
শে ভুইলা গেছিলো।
চুতমারানি।
আর মিছা কথা কওয়ার লাইগা এইটা পাইলাম আমি।
বড় রকমের চোদনা
ডেল মারে যাইতেছিলাম আমি আর আমার সিট থিকা উইঠা
বারের বগিতে গেছিলাম। একটা বিয়া নিয়া আসছিলাম আর ফিরা আইসা বসছিলাম।
“মাফ করবেন,” আমার পাশের সিটের মহিলা কইলো আমারে,
“আপনিআমার হাজব্যান্ডের সিটে বসছেন।“
“ও তাই নাকি?” আমি কইছিলাম। আমি আমার রেসিং ফর্মটা তুললাম
আর সেইটা দেখতে লাগলাম। পয়লা রেসটা খুবই টাফ
আছিলো। আর তখন একটা মানুষ আইসা দাঁড়াইলো সেইখানে।
“হেই, ভাই
আপনে আমার সিটে বসছেন!”
“আমি অলরেডি এইটা বলছি তারে,” মহিলাটা কইলো, “কিন্তু সে
পাত্তাই দিতেছে না।“
“এইটাআমার সিট!” লোকটারে কইলাম আমি।
“এইটা খুবই বাজে কাজ সে আমার সিট দখল করছে,” লোকটা
আশেপাশে তাকায়া কইলো, “আর এখন সে আমার
রেসিং ফর্মটা পড়তেছে!”
আমি অর দিকে তাকাইলাম, অর বুকটা ধড়ফড় করতেছিলো।
“নিজের দিকে তাকায়া দেখেন,” আমি কইলাম, “আপনার এতো বড়
বুক তো ধড়ফড় করতেছে!”
“বেটা, তুই আমার সিটে বইসা রইছোস!” সে কইলো আমারে।
“দেখেন,” আমি কইলাম, “যখন ট্রেনটা স্টেশন থিকা ছাড়ছে
তখন থিকা আমি এই সিটটাতে বইসা আছি। যে কাউরে জিগান!”
“না, এইটা ঠিক না,” আমার পিছন দিক থিকা কেউ
একজন কইলো,
“উনি এই সিটটাতে বসছেন যখন থিকা ট্রেনটা
স্টেশন থিকা ছাড়ছে!” “আপনে শিওর?”
“শিওর,আমি শিওর!”
আমি উইঠা পড়লাম আর হাঁইটা নেকস্ট বগিটাতে গেলাম।
ওইখানে আমার খালি সিটটা ছিলো জানালার সাথে আর ওইখানে ছিলো
আমার রেসিং ফর্মটা।
আমি ওই বগিটাতে আবার গেলাম। অই
লোকটা তার রেসিং ফর্মটা পড়তেছে।
“হেই,” আমি বলা শুরু করলাম…
“বাদ দেন,” লোকটা কইলো।
“আমরারে একলা থাকতে দেন,” তার বউটা কইলো।
আমি আমার বগিতে ফেরত আসলাম, বসলাম আর
এমনভাবে জানালা দিয়া বাইরে তাকাইলাম
যেন খুব মনোযোগ দিয়া বাইরের দৃশ্য দেখতেছি,
খুশিও হইছি যে, আমার বগির লোকজন তো জানে না
অন্য বগির লোকজন যা জানতো।
সোসাইটির বুঝা দরকার…
যখন জিনিসপত্র ঠিকঠাক মতো চলে না
আপনে কনসাল্ট করেন সাইকিয়াট্রিস্ট আর ফিলোসফারদের লগে
আর যখন সব ঠিকঠাক থাকে, যান মাগীদের কাছে।
মাগীরা আছে বাচ্চা পোলাপাইন আর বুড়া বেটাদের লাইগা; বাচ্চা পোলাপাইনদের অরা কয়,
“ডরাইস না, সোনা, তোর লাইগা এইখানে ঠিকমতো ঢুকায়া দিবো।”
আর বুড়া বেটাদের লাইগা
এমনভাবে কাম কইরা দেয়
যেন আপনে বাড়িতেই লাগাইতেছেন।
সোসাইটির বুঝা দরকার ভ্যালুটা
মাগীদের – মানে, যেইসব মাইয়া’রা সত্যি সত্যি এনজয় করে
তাদের কামটা – যারা এইটারে অলমোস্ট বানায়া ফেলছে একটা
আর্ট ফর্ম।
আমি ভাবতেছি টাইমটার কথা
একটা মেক্সিকান মাগীপাড়ায়
এই মেয়েটা তাঁর ছোট্ট বোলটা আর তাঁর ন্যাকড়া নিয়া
আমার ধোনটা ধুয়ে দিতেছে,
আর সেইটা খাড়া হয়া গেছিলো আর শে হাসছিলো আমি হাসছিলাম আর শে
এইটাতে চুমা খাইলো, আস্তে কইরা আর ধীরে ধীরে, তারপরে শে হাঁইটা গিয়া
ছড়ায়া পড়লো
বিছনাতে গিয়া
আর আমি উপরে উঠলাম আর আমরা সহজভাবে কাম করতেছিলাম, কোন আয়াস ছাড়া, কোন
টেনশন ছাড়া, আর কেউ একজন দরজায় ধাক্কা দিয়া
চিল্লাইতেছিলো,
“হেই! এইখানে কি হইতেছে?
তাড়াতাড়ি কর!”
কিন্তু এইটা ছিলো মালহার রাগের মতোন – আপনার
তাড়াহুড়া
করার দরকার
নাই।
যখন আমার শেষ হইলো আর শে ফিরা আসছিলো, সেইখানে
বোলটা আর ন্যাকড়াটা আসলো আবার
আর আমরা দুইজনেই হাসছিলাম; তারপরে শে চুমা খাইলো এইটাতে
আস্তে কইরা আর
ধীরে ধীরে, আর আমি উইঠা পড়লাম আর আমার কাপড়গুলি পড়লাম আর
বাইর হয়া আসলাম –
“খোদা, তুই কি করতেছিলি, ভাই
ভিতরে?”
“চুদতেছিলাম,” আমি কইলাম ভদ্রলোকরে
আর হলরুম দিয়া হাঁইটা গেলাম আর খাড়াইলাম
বাইরে, রাস্তায় আর জ্বালাইলাম
মিষ্টি মেক্সিকান সিগ্রেটগুলির একটা, চান্দের আলোতে।
মুক্ত আর মানুষ হইলাম আবার
মাত্র ৩ ডলার দিয়া, আমি
ভালোবাসছিলাম রাতটারে, মেক্সিকো আর
আমারে।
কবিতা
এইখানে
লাগে
অনেক অনেক
হতাশা
না-পারা
আর
না-পাওয়া
লিখ
তে
কিছু
ভালো
কবিতা।
এইটা
সবার
লাইগা না
এই
লেখাটা
বা ইভেন
এইটা
পড়তে পারাটা।
ম্যাজিকটারে ডিফাইন করা
একটা ভালো কবিতা হইলো ঠান্ডা বিয়ারের মতোন
যখন তোমার এইটা দরকার,
একটা ভালো কবিতা একটা গরম টার্কি স্যান্ডউইচ
যখন তোমার খিদা লাগে,
একটা ভালো কবিতা একটা বন্দুক যখন
ভীড়ের মানুষজন তোমারে কর্ণার করে ফেলতেছে,
একটা ভালো কবিতা এইরকম একটা কিছু
যা তোমারে মরণের রাস্তায় হাঁইটা যাইতে দেয়,
একটা ভালো কবিতা মরণরে গরম বাটারের মতোন গলাইয়া ফেলে,
একটা ভালো কবিতা মেজাজ-খারাপটারে একটা ফ্রেমে বান্ধায়া দেয়ালে ঝুলায়া ফেলতে পারে,
একটা ভালো কবিতা দিয়া তোমার ঠ্যাং টাচ করতে পারে চীন,
একটা ভালো কবিতা একটা ভাঙ্গা মন’রে উড়তে দিতে পারে,
একটা ভালো কবিতা দিয়া তোমার হাতগুলি মোজার্টের সাথে নড়তে পারে,
একটা ভালো কবিতা দিয়া তুমি আজাইরা জিনিগুলিরে গুলি করতে পারো
শয়তানের সাথে আর জিততে পারো,
একটা ভালো কবিতা প্রায় যে কোন কিছুই করতে পারে,
আর সবচে ইর্ম্পটেন্টলি
একটা ভালো কবিতা জানে কখোন
থামা লাগে।
প্রেম আর সুনাম আর মরণ
এইটা এখন বইসা আছে আমার জানালার বাইরে
যেইরকম একজন বুড়া বেটি যাইতেছে বাজারে;
এইটা বইসা থাকে আর আমারে দেখে,
নার্ভাস হয়া এইটা ঘামতে থাকে
তারের আর কুয়াশার আর কুত্তার ঘেউ ঘেউয়ের ভিতর দিয়া
যতক্ষণ না হঠাৎ কইরা
আমি স্ক্রীনটাতে একটা নিউজপেপার দিয়া বাড়ি মারি
যেমনে উইড়া যাওয়া মাছিরে মারি
আর এই চেচাঁনিটা আপনি শুনতে পাইবেন
এই শান্ত শহরের উপরে,
আর তারপরে এইটা চইলা যায়।
একটা কবিতারে যেমনে শেষ করা যায়
এইভাবে
চুপ হয়া গিয়া
হঠাৎ কইরাই।
গান
জুলিও আইছিলো অর গিটার নিয়া আর তার নতুন গানটা গাইছিলো।
জুলিও বিখ্যাত লোক, সে গান লিখতো আর
বইও ছাপাইতো ছোট ছোট ড্রয়িংস আর
কবিতার।
অইগুলিও ভালো
আছিলো।
জুলিও অর এখনকার লাভ অ্যাফেয়ারটা নিয়া একটা গান গাইছিলো।
ও গাইছিলো যে
এইটা এতো সুন্দরভাবে শুরু হইছিলো
আর তারপরে পুরা
দোজখের মতো হয়া গেছিলো।
ঠিক এইরকম শব্দগুলি ছিলো না
কিন্তু শব্দগুলির মিনিং এইরকমেরই ছিলো।
জুলিও গান গাওয়া
শেষ করলো।
তারপরে সে কইলো, “আমি এখনো ওর
কথা মনে করি, ওরে আমার মন থিকা
বাইর করতে পারি না।”
“আমি কি করবো?” জুলিও
জিগাইছিলো।
“মদ খা,” হেনরি কইছিলো,
মদ ঢালতে ঢালতে।
জুলিও ওর গ্লাসের দিকে তাকাইলো:
“এখন শে কি না জানি করতেছে?”
“হয়তো কারো লগে ওরাল
চুদাচুদি করতেছে,” হেনরি
সাজেস্ট করলো।
জুলিও তার গিটার’টা তার
কেইসে রাখলো আর
হাঁইটা গেলো
দরজার দিকে।
হেনরি জুলিও’রে তার গাড়ি পর্যন্ত আগায়া দিলো
যেইটা ড্রাইভের কাছে
পার্ক করা ছিলো।
সুন্দর চাঁদনি একটা
রাত।
যখন জুলিও তার গাড়ি স্টার্ট দিলো আর
ড্রাইভ থিকা বাইর হইলো
হেনরি তারে হাত নাড়ায়া
বিদায় জানাইলো।
তারপরে সে ভিতরে আইসা
বইসা
পড়লো।
সে জুলিও’র টাচ না করা ড্রিংকটা
খাইলো
তারপর সে
ফোন করলো
তারে।
“ও জাস্ট বাইর হয়া গেলো,” হেনরি কইলো
তারে, “ওর খুব খারাপ
লাগেতেছে…”
“এখন আমারে মাফ করো,”
শে কইলো, “কিন্তু আমি একটু বিজি আছি
এখন।”
শে ফোন রাইখা
দিলো।
আর হেনরি তার নিজের গ্লাসটা
ভরলো
বাইরে তখন ঝিঁঝিঁ পোকাগুলি গাইতেছিলো
তাদের নিজেদের
গান।
এখন শে ফ্রি
ক্লিও এইটা এখন কাটায়া উঠতে পারছে
তার সব ঝামেলা শে গুছায়া ফেলছে
বার্নি’র কাছ থিকা আলাদা হইছে
বার্নি ওর লাইগা ঠিক ছিলো না
একটা বড় অ্যাপার্টমেন্ট পাইছে শে
সুন্দর কইরা সাজাইছে
আর নতুন সিলভার ক্যামারো কিনছে
একটা ড্যান্স জয়েন্টে শে বিকালবেলা কাজ করে
রেডোন্ডো বিচ থিকা
৩০ মাইল ড্রাইভ কইরা শে তার কাজে যায়
নাইট স্কুলে যায়
এইডস ক্লিনিকে হেল্প করে
আই চিং পড়ে
ইয়োগা করে
২০-বছর-বয়েসী একটা পোলার লগে থাকে
হেলদি ফুড খায়
বার্নি ওর লাইগা ঠিক ছিলো না
এখন শে তার সবকিছু গুছায়া ফেলছে
শে T.M.-এ আছে
কিন্তু শে একই পুরানা ফূর্তিবাজ ক্লিও-ই আছে
ওর নখগুলিতে শে সবুজ রঙ লাগায়
একটা প্রজাপতির ট্যাট্টু করছে
গতকালকে আমি দেখলাম ওরে
ওর নতুন সিলভার ক্যামারো’তে
ওর লম্বা ব্লন্ড চুল উড়তেছিলো
বাতাসে।
বেচারা বার্নি।
সে জানে না যে সে কি জিনিস
মিস করতেছে।
………..
T.M. a specific form of mantra meditation
ওম্যান অন দ্য স্ট্রীট
তাঁর জুতাগুলাই
আমার রুমটাতে জ্বালায়া দিতে পারে
অনেকগুলি মোমবাতি
শে হাঁইটা যায় যেইভাবে সব জিনিসগুলি
ঝলমল করে গ্লাসে,
যেইভাবে সব জিনিসগুলি
একটা ডিফরেন্স তৈরি করে।
হাঁইটা হাঁইটা চইলা যায় শে।
চিঠিগুলি
ফ্লোরে বইসা আছে শে
একটা কার্ডবোর্ডের বক্স হাতরাইতেছে
পড়তেছে প্রেমের চিঠিগুলি, যেইগুলি আমি তারে লিখছিলাম
অর ৪ বছরের মেয়েটা শুইয়া আছে ফ্লোরে
পিংক একটা কম্বল দিয়া মোড়া আর
থ্রি-কোয়ার্টার পইরা ঘুমাইতেছে
একবার ছাড়াছাড়ি’র পরে আমরা একলগে হইছি আবার
আমি বইসা আছি অর বাসায়
একটা রবিবার রাইতে
বাইরে, গাড়িগুলি উঠতেছে আর নামতেছে পাহাড়ে
যখন আজকে রাতে আমরা একলগে ঘুমাবো
আমরা শুনবো ঝিঁঝিঁ পোকাদের আওয়াজ
বোকা মানুষগুলি কই যারা বাঁইচা থাকে না
আমার মতোই?
আমি ভালোবাসি অর দেয়ালগুলি
আমি ভালোবাসি অর বাচ্চারে
আমি ভালোবাসি অর কুত্তারে
আমরা শুনবো ঝিঁঝিঁ পোকাদের আওয়াজ
আমার হাত ঘুইরা বেড়ায় অর উরাতে
আমার আঙুলগুলি অর পেটে
এইরকম একটা রাইত জীবনরে হারায়া দেয়,
জোয়ারটা ছাপায়া যায় মরণরে
আমার প্রেমের চিঠিগুলি আমি পছন্দ করি
এইগুলি সত্যি
আহ্, অর আছে কি সুন্দর একটা পাছা!
আহ্, অর আছে কি সুন্দর একটা আত্মা!
এই এখন
পার্টি শেষ, রোস্টারটা করতেছে
কক্কক কক্কক, আর অরা কইলো
দান শেষ, ড্যান্স গার্লগুলি
নাক ডাকতেছে, ইন্দুরটা ঘুরতেছে
কাগজের কাপগুলির উপর, বান্দরটার
লেজে পিন মারা, উপকথাগুলি
গড়ায়া গড়ায়া মরণের দিকে যাইতেছে, প্রেম
ঢাইকা আছে ধূলায়, মন্দিরগুলি
খালি, উইড়া গেছে পাখি
খাঁচা থিকা, খাঁচার ভিতরে
একটা বামনের মন কানতেছে, স্বপ্নটা
একটা ডুব মারছে আর আমি বইসা
তাকায়া আছি আমার হাতগুলির দিকে, তাকায়া থাইকা
আমার হাতগুলির দিকে
শূণ্যতার আওয়াজগুলি শুনতেছি
মুর্হূতটার।
ভীড়ের প্রতিভা
এইখানে আছে এনাফ প্রতারণা, ঘৃণা
ভায়োলেন্স,
হাইস্যকর জিনিস অ্যাভারেজ মানুষের
মধ্যে
যে কোন আর্মিরে যে কোনদিন সাপ্লাই দেয়ার
লাইগা।
আ র খুন করার লাইগা অরাই বেস্ট
যারা এর এগেনেস্টে ফতোয়া দেয়।
আ র বেস্ট ঘৃণা করতে পারে অরাই
যারা প্রে মে র ফতোয়া দেয়
আ র যু দ্ধে অ রা ই বে স্ট
– ফা ই না লি – যা রা
ফ তো য়া দে য়
শা ন্তি র
যারা ফতোয়া দেয় আ ল্লা র নামে
অদের দ র কা র আল্লার
যারা ফতোয়া দেয় শা ন্তি র
অদের মনে শান্তি নাই।
যা রা প্রে মে র গা ন গা য়
অ দে র না ই কো ন প্রে ম
এ ই ফ তো য়া বা জ দে র থি কা সা ব ধা ন, সাবধান
যারা জানে।
সাবধান
অদের থিকা
যারা স ব স ম য়
প ড়ে
ব ই
তাদের থিকা সাবধান যারা হয় ঘৃণা করে
গরিবি’রে অথবা এইটা নিয়া গর্ব করে
সা ব ধা ন যারা খুব সহজেই প্রশংসা করে
কারণ তারা বিনিময়ে প্র শ ং সা চায়
সা ব ধা ন যারা খুব সহজেই নিন্দা করে:
অরা ডরায় অরা যা
জানে না
সাবধান অদের থিকা যারা সবসময়
ভীড় খুঁজে, অরা কিছুই না
একলা মানুষ
সাবধান
অ্যাভারেজ বেটাদের থিকা
অ্যাভারেজ বেটিদের থিকা
সা ব ধা ন অদের প্রেম থিকা
অদের প্রেম হইতেছে অ্যাভারেজ, আর খুঁজে
অ্যাভারেজ
কিন্তু অদের প্রতিভাটা হইতেছে অদের ঘৃণার ভিতরে এইখানে
এই পরিমাণ প্রতিভা আছে অদের ঘৃণার ভিতরে যা
খুন করতে পারে তোমারে, খুন করতে পারে
যে কাউরেই।
একলা-থাকাটারে না চাইয়া
একলা-থাকাটারে না বুইঝা
অরা চাইবো যে কোনকিছুরে ধ্বংস কইরা ফেলতে
যা কিছু আলাদা
ওদের নিজেদের থিকা
আর্ট ক্রিয়েট করতে
না পাইরা
অরা বুঝবো না
আর্ট কি জিনিস
অদের ফেইলওরটারে অরা মনে করে
ক্রিয়েটর হিসাবে
খালি একটা ফেইলওর
এই দুনিয়ার
পুরাপুরি ভালোবাসতে পারে না বইলা
অরা বি শ্বা স করে তোমার ভালোবাসা
হয় না
আ র ত খ ন অ রা ঘৃ ণা ক র বো
তো মা রে
আর তাদের ঘৃণাটা হইবো পারফেক্ট
একটা চকচক করা ডায়মন্ডের মতোন
একটা ছুরির মতোন
একটা পাহাড়ের মতোন
এ ক টা বা ঘে র ম তো ন
হেমলকের ম তো ন
অদের সবচে সুন্দর
আর্ট।
একটা প্রেমের কবিতা
সব মেয়েমানুষেরা
অদের সব চুমাগুলা
ডিফরেন্টভাবে অরা ভালোবাসে আর
কথা কয় আর চায়।
অদের কানগুলা অদের সবার আছে
কানগুলি আর
গলাগুলি আর ড্রেসগুলি
আর জুতাগুলি আর
মোটরগাড়িগুলি আর এক্স-
হাজব্যান্ডরা।
বেশিরভাগ
মেয়েমানুষেরা খুবই
গরম অরা আমারে মনে করায়
বাটার টোস্টের কথা যেইখানে বাটার
গইলা গইলা
পড়তেছে।
এইখানে আছে একটা তাকানো
চোখে: অদেরকে নিয়া নেয়া
হইছে অদেরকে বেক্কল বানানো
হইছে। আমি আসলে জানি না কি
করবো
অদের লাইগা।
আমি একজন
মোটামুটি রাঁধুনি একজন ভালো
লিসেনার
কিন্তু আমি কখনোই নাচতে
শিখি নাই – আমি বিজি ছিলাম
তখন বড়সড় জিনিসগুলি নিয়া।
কিন্তু আমি এনজয় করছি অদের আলাদা
বিছানাগুলি
সিগ্রেট খাওয়া
তাকায়া থাকা
সিলিংয়ের দিকে। আমি প্রতিশোধ-পরায়ন ছিলাম না বা
আনফেয়ার কিছু করি না। খালি ছিলাম
একজন স্টুডেন্ট।
আমি জানি অদের সবার আছে
পা’গুলি আর খালি পায়ে অরা ফ্লোর দিয়া হাঁইটা যায়
আমি দেখি অদের লাজুক পাছাগুলি
আন্ধারে। আমি জানি অরা আমারে পছন্দ করে, কেউ এমনকি
ভালোবাসে আমারে
কিন্তু আমি ভালোবাসি খুব
অল্প কয়জন’রে।
কেউ কেউ আমারে দেয় কমলা আর ভিটামিন পিলগুলি;
অন্যরা চুপচাপ কথা কয়
বাচ্চাবেলার আর বাপেদের আর
সিন-সিনারি’র; কেউ কেউ রীতিমতো
ক্রেজি কিন্তু কেউই নাই কোন মিনিং
ছাড়া; কেউ ভালোবাসে
অনেক, অন্যরা ওইরকম
না; যারা সেক্সে বেস্ট সবসময় অন্য ব্যাপারগুলিতে
বেস্ট না; সবারই লিমিটগুলি আছে যেইরকম আমার
লিমিটগুলি আছে আর আমরা শিইখা নেয়
একজন আরেকজনরে
খুব তাড়াতাড়িই।
সব মেয়েমানুষেরা সব
মেয়েমানুষেরা সব
বেডরুমগুলি
এই কম্বলগুলি এই
ছবিগুলি এই
পর্দাগুলি, এইটা
এইরকম যেন একটা চার্চ খাল
অনেক সময় এইখানে থাকে
হাসিগুলি।
এই কানগুলি এই
হাতগুলি এই
ভ্র’গুলি এই চোখগুলি
তাকায়া থাকা, এই আদর আর
এই চাওয়াগুলি আমি ধরে
রাখতেছি আমি ধরে
রাখতেছি।
ফায়ার স্টেশন
(জেনি’র লাইগা, ভালোবাসাসহ)
আমরা বার থিকা বাইর হয়া আসলাম
কারণ আমাদের টাকা শেষ হয়া গেছিল
কিন্তু আমাদের রুমে
কয়েকটা ওয়াইনের বোতল আছিলো।[pullquote][AWD_comments][/pullquote]
বিকাল ৪টা বাজে তখন
আর আমরা একটা ফায়ার স্টেশন পার হইতেছিলাম
আরে শে শুরু করলো
ক্রেজি হওয়া:
“একটা ‘ফায়ার স্টেশন’! ওহ, আমি খুবই পছন্দ করি
ফায়ার ইঞ্জিনগুলি, অরা এতো লাল আর
সবগুলি! আসো ভিতরে যাই!”
আমি ওরে ফলো করলাম
ভিতরে। “’ফায়ার ইঞ্জিন’!” শে চেঁচায়া উঠলো
তার বড় পাছা
নাচায়া।
অলরেডি শে ট্রাই করতেছিল একটাতে
উঠার, তাঁর স্কার্ট ধইরা শে কোমরে তুইলা
কাঞ্চি মাইরা বসার ট্রাই করতেছিল
সিটের উপরে।
‘খাড়াও, খাড়াও, আম্মারে হেল্প করতে দাও’ এক ফায়ারম্যান দৌড়াইয়া
আইলো।
আরেক ফায়ারম্যান হাঁইটা আইলো
আমার কাছে: “আমাদের নাগরিকদের আমরা সবসময় ওয়েলকাম জানাই,”
সে কইলো
আমারে।
অন্য বেটা’টা সিটের উপ্রে বইসা ছিল তাঁর
লগে। “তোমার কাছে কি ওই একটা বড় ‘জিনিস’ আছে?”
শে জিগাইলো তারে। “ওহ, হাহাহা! আমি বুঝাইতেছি ওই
বড় ‘হেলমেটগুলির’ কথা!”
“আমার নিজেরও একটা বড় হেলমেট আছে তো,” সে কইলো
তাঁরে।
“ওহ, হাহাহা!”
“তুমি কার্ড খেলতে পারো?” আমি জিগাইলাম ‘আমার’
ফায়ারম্যানরে। আমার কাছে ৪৩ সেন্ট ছাড়া আর টাইম ছাড়া
কিছুই নাই।
“পিছনের দিকে আসো,” সে
কইলো, “এমনিতে, আমরা তো জুয়া খেলি না
এইটা তো এগনেইস্টে
আইনের।”
“বুঝছি আমি,” আমি কইলাম
তারে।
আমি আমার ৪৩ সেন্টরে বাজি লাগাইলাম
এক ডলার নব্বই সেন্ট তক
যখন আমি দেখলাম যে শে উপরের ঘরে যাইতেছে
‘তার’ ফায়ারম্যানের লগে।
“ও আমারে দেখাইবো ওদের শোয়ার
কোয়ার্টারগুলি,” শে কইলো
আমারে।
“বুঝছি আমি,” আমি কইলাম
তারে।
যখন তাঁর ফায়ারম্যান নিচে নাইমা আইলো
দশ মিনিট পরে
আমি তারে দেইখা মাথা
ঝাঁকাইলাম।
“এইটার লাইগা ৫
ডলার”
“৫ ডলার
এইটার লাইগা?”
“আমরা তো কোন স্ক্যান্ডাল চাই না, তাই
না? আমরা’র দুইজনেরই হয়তো চাকরি
চইলা যাইবো। অবশ্য, আমি এখন
কাজ করতেছি না।”
সে আমারে দিলো এই
৫।
“বসো, তুমি হয়তো এইটা ফেরতও পাইতে
পারো।”
“কি্ কি্ খেলতেছো?”
“ব্ল্যাকজ্যাক।”
“জুয়াখেলা তো আইন-
বিরোধী।”
“ইন্টারেস্টিং যে কোনকিছুই। আর তাছাড়া
তুমি কি কোন টাকা দেখতেছো
টেবিলে?”
সে বইলো।
ওরে নিয়া ৫ জন হইলাম
আমরা।
“কেমন ছিলো রে হ্যারি?” কেউ একজন জিগাইলো
ওরে।
“খারাপ না, খারাপ
না।”
অন্য বেটাটা উইঠা গেলো
উপরে।
ওরা আসলেই খুব বাজে প্লেয়ার আছিলো।
এমনকি ওরা দানটাও মনে রাখার দরকার মনে
করতেছিল না। ওরা জানতোও না যে
বড় নাম্বার আইতেছে নাকি ছোট নাম্বার। আর বেসিক্যালি ওরা অনেক উপরে হিট করতেছিলো
আর নিচে ধইরা রাখতে পারতেছিলো না
খুব একটা।
যখন আরেকটা বেটা নিচে নাইমা আইলো
সে আমারে দিলো
পাঁচ।
“কেমন আছিলো মালটা, মার্টি?”
“খারাপ না। মাইয়াটা… ভালো কয়টা
মুভমেন্ট জানে।”
“দরকার পড়লে মারেন আমারে!” আমি কইলাম। “ভালো ক্লিন মাইয়া। আমি
নিজে চইড়া দেখছি।”
কেউ কইলো না
কিছুই।
“কোন বড় আগুন আছে আর?” আমি
জিগাইলাম।
“নাহ্। কিছু নাই
তেমন।”
“বেটাদের দরকার আছে তো
ব্যায়াম করার। হিট করেন আমারে
আবার!”
এক লাল-মাথার ইয়াং-পোলা যে পরিষ্কার করতেছিল একটা
ইঞ্জিন
তার মুছানিটা ফালায়া দিলো আর
উপরে উইঠা গেলো।
যখন সে নাইমা আইলো সে আমারে ছুঁইড়া দিলো একটা
পাঁচ।
যখন ৪নাম্বার বেটা নাইমা আইলো আমি তারে
৩টা পাঁচ দিলাম একটা
বিশের লাইগা।
আমি জানি না কতোজন ফায়ারম্যান
আছিলো বিল্ডিংটাতে অথবা ওরা আছিলো
কই। আমার মনে হইছে কয়েকজন আমারে স্লিপ কইরা গেছে
কিন্তু আমি খুব ভালো মুডে আছিলাম
খেলার।
বাইরেটা আন্ধার হয়া আসতেছিলো
যখন এলার্ম
বাজলো।
ওরা দৌড়াদৌড়ি শুরু করলো।
বেটাগুলি নাইমা আইতেছিল
পোলটা ধইরা।
তখন শে নাইমা আইলো
পোলটা ধইরা। শে ভালো খেলতে পারতো
পোল নিয়া। একজন রিয়েল উইমেন। কিছুই নাই যার গাটস
আর
পাছা ছাড়া।
“চলো, যাইগা,” আমি কইলাম
তারে।
শে ওইখানে দাঁড়ায়া হাতা নাড়ায়া গুডবাই কইতেছিল
ফায়ারম্যানদেরকে কিন্তু ওদেরকে দেইখা
খুব একটা ইন্টারেস্টেট মনে হইলো না
আর।
“চলো আমরা ফেরত যাই আবার
বারে।” আমি কইলাম
তারে।
“ওওহ, তুমি পাইছো
টাকা?”
“পাইছি কিছু আমি আমি জানি না ঠিক
কতো…”
আমরা বারের একদম শেষদিকে গিয়া বইলাম
হুইস্কি আর বিয়ার
চেজার নিয়া।
“আমার মনেহয় একটা ভালো ঘুম
দরকার।”
“হ, বাবু, তোমার তো দরকার তোমার
ঘুম।”
“দেখো ওই নাবিকটারে যে আমার দিকে তাকায়া আছে!
ও মনেহয় ভাবতেছে যে আমি… একটা…”
“নাহ্, আমার এইটা মনেহয় না। রাখো, তোমার একটা
ক্লাস আছে না, রিয়েল ক্লাস। তোমার এমনকিছু আছে যেইটা দেখলে আমার এক
অপেরা সিঙ্গারের কথা মনেহয়। তুমি জানো, ওই প্রাইমা ডি’র মতোন।
তোমার ক্লাসটা তাকাইলেই বুঝা যায়
তোমার দিকে। মাল
খাও।”
আমি অর্ডার করলাম ২টা
আরো।
“তুমি জানো, আব্বু, তুমিই হইতেছো একমাত্র বেটামানুষ যারে আমি
‘ভালোবাসি’! আমি বুঝাইতেছি, সত্যি সত্যি… ভালোবাসি!তুম্মি
জানো?”
“হ, জানি তো। মাঝে-মধ্যে তো আমার মনেহয় আমি একজন রাজা
আমি যা আছি সেইটার পরেও।”
“হ। হ। ‘এই্টার’ কথাই আমি বলতেছিলাম, এইরকম একটাকিছুর
কথাই।”
মুততে যাওয়ার লাইগা উঠতে হইছিল আমারে। যখন আমি ফিরা আসলাম
ওই নাবিকটা আইসা বইসা ছিল আমার
সিটে। শে তার ঠ্যাংয়ে ঠ্যাং দিয়া চিপা মাইরা রাখছিল আর
সে কথা কইতেছিল।
আমি সামনে হাঁইটা গেলাম আর একটা ডার্ট গেইম খেলা শুরু করলাম
হ্যারি দ্য হর্স আর কর্ণারের
নিউজবয়টার লগে।
[youtube id=”tJKLeJcFLeM”]
যেই রাতে অরা হুইটিনিরে নিয়া গেলো
ছাড়া-ছাড়া স্বপ্ন আর ঠসা-উঠা ওয়ালপেপার
পাতলা ঘুমের লক্ষণ
এই ভোর ৪টার সময়। হুইটনি বাইর হয়া আসছিলো ওর রুম থিকা
(গরিবের সাত্বনা হইলো নাম্বারে
গরমের আফিমের মতোন)
আর সে চিল্লাইতে লাগলো হেল্প করো আমারে! হেল্প করো আমারে! হেল্প করো আমারে!
(হাতির দাঁতের মতোন শাদা চুল বুইড়া লোকটার)
আর সে রক্তবমি করতেছিল
হেল্প করো আমারে! হেল্প করো আমারে! হেল্প করো আমারে!
আর আমি তারে হলরুমে শুইয়া পড়তে হেল্প করলাম
আর আমি বাড়িওলি মহিলার দরজায় ধাক্কাইলাম
(শে হইতেছে সবচে ভালো ওয়াইনের মতোন ফ্রেঞ্চ, কিন্তু
একটা আম্রিকান স্টেইকের মতোন কঠিন) আর
তাঁর নাম ধইরা চেঁচাইলাম, মার্সেলা! মার্সেলা!
(দুধওলা আর একটু পরেই আইবো তার
ঠান্ডা লিলি’র মতোন খাঁটি শাদা বোতলগুলি নিয়া)
মার্সেলা! মার্সেলা! হেল্প করো আমারে হেল্প করো আমারে হেল্প করো আমারে
আর শে দরোজার ভিতর দিয়াই চিল্লাইলো:
পোলিশ বাইনচোত একটা, তুই আবার মাতাল হইছিস? তারপরে
দরজায় প্রমিথিউসের মতোন চোখটা আইলো
আর শে
তাঁর চৌকা ব্রেইনটা দিয়া লাল নদীটা শুইষা নিলো
(ওহ, আমি একটা পোলিশ মাতাল ছাড়া আর কিছুই না
নিউজপেপারে বাজে বাজে ঠেস-মারা চিঠি-লেখার রাইটার)
আর টেলিফোনে শে এমনভাবে কথা কইতেছিলো যেন একজন মহিলা ব্রেড আর ডিমের অর্ডার দিতেছিলো,
আর আমি ওয়ালটা ধইরা খাড়ায়া ছিলাম
বাজে কবিতাগুলি আর আমার নিজের মরা’র স্বপ্ন দেখতেছিলাম
আর তখন মানুষগুলি আইছিলো… একজনের মুখে সিগার, আরেকজনের শেভ করা দরকার,
আর অরা তারে খাড়া করাইলো আর সিঁড়ি দিয়া নামাইলো
তার হাতির দাঁতের মাথাটায় আগুন জ্বলতেছিলো (হুইটনি, আমার মদের পার্টনার-
সব গানগুলি, জিপসি গান, জিপসি হাসি, কথা কওয়া
যুদ্ধ নিয়া, মারামারিগুলি, ভালো মাগিগুলি,
ওয়াইনে পিছলাইয়া যাওয়া হোটলের তক্তাগুলা,
ক্রেজি কথাগুলির ভিতর ভাইসা যাওয়া,
শস্তা সিগার আর চেতগুলি)
আর পরী’রা আইসা নিয়া গেলো তারে, খালি লাল পার্ট’টা ছাড়া
আর বমি করা শুরু করলাম আমি আর ফ্রেঞ্চ নেকড়টা চেঁচাইলো
এই সবগুলি তোর সাফ করা লাগবো, সবগুলি, তোর আর হুইটনির!
আর নাবিকেরা জাহাজ ছাইড়া দিলো আর বড়লোক বেটাগুলি অদের ইয়টগুলিতে
কচি মাইয়াগুলিরে চুম্মাইতে লাগলো যারা অদের মেয়ে হইতে পারতো,
দুধওলা চইলা আসছিলো আর তাকায়া ছিলো
আর নিয়ন লাইটগুলি পিট পিট কইরা কিছু বেচতেছিলো
টায়ার অথবা তেল অথবা আন্ডারওয়ার
আর শে ঠাস কইরা তাঁর দরজা লাগায়া দিলো আর আমি একলা পইড়া ছিলাম
শরমে-মরা
এইটা ছিলো যুদ্ধ, সবসময়ের যুদ্ধ, যুদ্ধটা কখনোই শেষ হয় নাই,
আর আমি কানলাম ঠসা-পড়া ওয়ালগুলি ধইরা,
আমরার হাড়গুলির দুর্বলতা, আমরার মদ-খাওয়া হাফ ব্রেইনগুলা নিয়া,
আর হলরুমে হামাগুড়ি দিয়া ভোর আসতে শুরু করতেছিলো –
টয়লেটে ফ্লাশগুলির আওয়াজ, ওইখানে ছিলো বেকন, ওইখানে ছিলো কফি,
ওইখানে ছিলো হ্যাংওভারগুলি, আর আমিও
ভিতরে চলে গেছিলাম আর দরজাটা লাগায়া দিছিলাম আর বইসা ছিলাম আর ওয়েট করতেছিলাম সূর্য উঠার লাইগা।
রেইন
একটা অর্কেস্ট্রার সিম্ফনি।
একটা ঠাডা পড়লো তখন।
অরা বাজাইতেছিল ওয়েগনারের ওভারটিউন
আর মানুষজন গাছগুলির নিচে তাদের সিটগুলি ছাড়তেছিল
আর দৌড়ায়া ঢুকতেছিল প্যাভিলিয়নের ভিতর
বেটিগুলি খিকখিক করতেছিল, আর বেটাগুলি ভাব করতেছিল চুপচাপ থাকার,
ভিজা সিগ্রেটগুলিরে ফালায়া দেয়া হইতেছিল,
ওয়েগনার বাইজা যাইতেছিল, আর তখন সবাই চইলা আসছিল নিচে
প্যাভিলিয়নের। এমনকি পাখিগুলাও গাছগুলি থিকা বাইর হয়া আসলো
আর ঢুকলো প্যাভিলিয়নের ভিতর আর তখন বাইজা উঠলো লিজস্টের
হ্যাঙ্গেরিয়ান র্যাপসোডি #২, আর বৃষ্টি পড়তেছিল, কিন্তু দেখো,
একটা মানুষ একটা বইসা আছে বৃষ্টির ভিতর
শুনতেছে, অডিয়েন্স নোটিস করতেছিল তারে, অরা ঘুরলো
আর দেখলো। অর্কেস্ট্রা তার নিজের মতো বাইজা
যাইতেছিল। লোকটা বইসা ছিল রাতের বেলা বৃষ্টির ভিতর,
শুনতেছিল। তার কোন সমস্যা আছিলো মনেহয়,
তাই না?
সে শুনতে আসছিলো
মিউজিক।
হট
শে হট আছিলো, শে এতো হট আছিলো যে
আমি চাইতাম না আর কেউ তারে নিতে পারুক,
আর আমি যদি টাইমলি ঘরে ফিরতে না পারি
শে তো চইলা যাইবো, আর আমি এইটা নিতে পারতাম না…
আমি পাগল হয়া যাইতাম…
এইটা বেকুবি আমি জানি, পোলাপাইন্না ব্যাপার
কিন্তু আমি এর মধ্যে পইড়া গেছিলাম, ধরা খায়া গেছিলাম।
সবগুলি চিঠি আমি ডেলিভারি কইরা দিছিলাম
আর তারপরে হেন্ডারসন আমারে রাইতের পিক-আপের দৌড়ে লাগায়া দিলো
একটা পুরান আর্মি ট্রাকের,
আর এই বালের জিনিসটা অর্ধেক রাস্তাতেই হট হয়া যাইতে লাগলো
আর রাইত বাড়তেছিল
আমি ভাবতেছিলাম হট মিরিয়ামের কথা
আর লাফ দিয়া ট্রাকে উঠতেছিলাম আর নামতেছিলাম
চিঠির বস্তাগুলি নিয়া
ইঞ্জিনটা হট হইতে থাকতেছিল
টেম্পারেচারের কাঁটাটা একদম উপরে উইঠা গেছিলো
হ ট হ ট
মিরিয়ামের মতোন।
আমি ফাল দিয়া উঠলাম আর নামলাম
আর ৩টা পিক-আপ আর স্টেশনের ভিতরে গিয়া
আমার কাম শেষ, আমার গাড়ি
ওয়েট করতেছে আমারে মিরিয়ামের কাছে নিয়া যাওয়ার লাইগা যে বইসা আছে আমার নীল কৌচে
পাথরের উপরে স্কচ নিয়া
তার ঠ্যাংগুলি ক্রস কইরা আর গোড়ালিগুলি ঝুলাইয়া দিয়া
যেমনে শে বইসা থাকে
আর ২টা স্টপেজ…
ট্রাকটা একটা ট্রাফিক লাইটে থামছে, দোজখের অবস্থা
কিক কইরা যাইতেছে
আবার…
আমারে ৮টার মধ্যে ফিরতে হইবো বাসায়, মিরিয়ামের ডেডলাইন হইতেছে ৮টা।
লাস্ট পিক-আপের কামটা সারলাম আর ট্রাকটা দাঁড়ায়া ছিল সিগন্যালে
স্টেশন থিকা ১/২ ব্লক দূরে…
এইটা স্টার্ট নিতে পারতেছেন না, এইটা র্স্টাট নিতে পারবো না…
আমি দরজাগুলি বন্ধ করলাম, চাবিটা খুললাম আর দৌড়ায়া গেলাম
স্টেশনে…
আমি চাবিগুলি ছুঁইড়া মারলাম… সাইন-আউট করলাম…
তোমার বালের ট্রাক সিগন্যালে আটকাইয়া রইছে
আমি চিল্লাইয়া কইলাম,
পিকো আর ওয়েস্টার্নরে…
…আমি দৌড়ায়া হল’টা পার হইলাম, দরজার ভিতরে চাবি ঢুকাইলাম,
খুললাম সেইটা… তার মদের গ্লাসটা আছিলো সেইখানে, আর একটা নোট:
চুতমারানির পোলা:
খাওয়ার পরে ৫টা তক অয়েট করছি আমি
তুই আমারে ভালোবাসিস না
একটা চুতমারানির পোলা তুই
কেউ না কেউ তো আমারে ভালোবাসবোই
আমি সারাদিন ধইরা অয়েট করছি
– মিরিয়াম
আমি একটা মদ ঢাললাম আর টাবে পানি ছাইড়া দিলাম
শহরে ৫,০০০ বার আছে
আর বেশি হইলে ২৫টা তে
যাইতে পারি আমি মিরিয়ামের খোঁজে
অর পার্পল টেডি বিয়ারটা নোট’টা ধইরা রাখছে
একটা বালিশের উপর ঝুঁইকা পইড়া
আমি তারে একটা ড্রিংক দিলাম, আমি নিজে একটা নিলাম
আর ঢুইকা গেলাম গরম
পানিতে।
জেনের লাইগা: আমার যত ভালোবাসা ছিল তার সবসহ,
যা এনাফ ছিলো না: –
স্কার্টটা কুড়াইয়া তুললাম আমি,
আমি কুড়াইয়া তুললাম ঝিলমিল গুটিগুলি
কালা রংয়ের,
এই জিনিসটা ঘুরতো একসময়
শরীর জুইড়া,
আর আমি কইলাম খোদা একটা মিথ্যুক,
আমি কই
যা কিছু চলা-ফিরা করে
এইটার মতো
অথবা যে জানতো
আমার নাম
কখনোই মরতে পারে না
মইরা যাওয়ার কমন সত্যির ভিতরে,
আর আমি কুড়াইয়া
তুলি তার সুন্দর
ড্রেসটা,
তার সমস্ত সুন্দরতা চইলা গেছে,
আর আমি কথা কই
সব খোদাদের লগে,
ইহুদিদের খোদা, খ্রীস্টানদের খোদা,
জ্বলজ্বলা করা জিনিসগুলির কুচিগুলা,
মূর্তিগুলা, অষুধগুলি, ব্রেড
তলাগুলি, রিস্কগুলি
জাইনা-শুইনা সারেন্ডার করা,
ঝোলের মধ্যে পইড়া ২টা ইন্দুর পাগলা হয়া গেলো পুরা
কোন চান্স ছাড়াই
হামিংবার্ডের জ্ঞান, হামিংবার্ডের সুযোগ,
আমি এইটার উপরে ঝুঁইকা পড়লাম,
আমি এই সবকিছুর উপরে ঝুঁইকা পড়লাম
আর আমি জানি:
ওর ড্রেসটা আমার হাতের উপর
কিন্তু
তারা তো ফিরায়া দিবে না
তারে
আমার কাছে।
জেনের লাইগা
২২৫টা দিন ঘাসের নিচে
আর তুমি জানো আমার চাইতে বেশি।
তারা শুষে নিছে তোমার রক্ত অনেক আগে
তুমি শুকনা একটা কাঠি একটা ঝুড়িতে।
এইটা কি এইভাবে কাজ করে?
এই রুমটাতে
প্রেমের সময়গুলি
এখনো তৈরি করে ছায়াগুলি।
যখন তুমি চইলা গেলা
তুমি নিয়া গেলা প্রায়
সবকিছুই।
রাতগুলির ভিতর আমি হাঁটু গাইড়া বসলাম
বাঘগুলির সামনে
আমারে যা আর হইতে দিবে না আমি।
যা তুমি ছিলা
তা আর হইবো না আবার।
বাঘগুলি আমারে পায়া গেছে
আর আমি এইটা কেয়ার করি না।
মিনিস্কার্ট পরা মেয়েটা আমার জানালার বাইরে বাইবেল পড়তেছে
রোববার। আমি খাইতেছি একটা
জাম্বুরা। চার্চটা হইতেছে রাশান
অর্থডক্স
পশ্চিম দিকে।
শে ডার্ক
ইস্টার্ন টাইপের,
বড় বাদামি চোখগুলি বাইবেল থিকা উঠলো
তারপর নামলো। একটা ছোট লাল আর কালা
বাইবেল, আর যখন শে পড়ে
তাঁর ঠ্যাংগুলি নড়তে থাকে, নড়তে থাকে,
স্লো একটা রিদমে নাচতেছে শে
যখন পড়তেছে বাইবেল…
লম্বা সোনার কানের দুল;
প্রতিটা হাতে ২টা কইরা সোনার ব্রেসলেট
আর এইটা একটা মিনি-স্যুট, আমার মনেহয়,
জামাগুলি ওর শরীরটারে জড়ায়া ধইরা রাখছে,
সবচে হালকা তামা রংয়ের জামাটা
একপাশ থিকা আরেকপাশে উল্টায় শে,
লম্বা কচি ঠ্যাংগুলি গরম রইদে…
তার থাকাটা থিকা পালানোর কোন রাস্তা নাই
কোন ডিজায়ারও নাই এইখানে…
মিউজিক সিম্ফনি বাজাইতেছে আমার রেডিওটা
ওইটা শে শুনতে পাইতেছে না
কিন্তু যেমনে শে নড়তেছে সেইটা হুবহু মিলতেছে
রিদমগুলার সাথে
সিম্ফনিটার…
শে ডার্ক, শে ডার্ক
শে পড়তেছে গড’রে নিয়া
আমি হইতেছি গড।
কেউ একজন
গড আমার খুবই বাজে রকমের খারাপ লাগতেছিলো,
এই মহিলা ওইখানে বইসা ছিলো আর শে
কইলো
আপনি কি সত্যি সত্যি চালর্স
বুকোউস্কি?
আর আমি কইলাম
ভুইলা যান
আমার ভাল্লাগতেছে না
আমার বাজে বাজে লাগতেছে
আর এখন আমি যা চাই তা হইলো
তোমারে চুদতে
আর শে হাসলো
শে ভাবছিলো আমি ট্রাই করতেছি
চালাক হওয়ার
আর ওহ আমি ওর বেহেশতের লম্বা স্লিম ঠ্যাংগুলির দিকে তাকাইলাম
আমি ওর পাকস্থলি আর ওর কাঁপতে থাকা নাড়িগুলি দেখলাম
আমি দেখলাম ক্রাইস্টরে ওইখানে
একটা ফোক-রক মিউজিকে লাফাইতেছে
উপাস থাকার সবগুলি লাইন আমার ভিতরে
জাইগা উঠলো
আর আমি হাঁইটা গেলাম
আর তারে সোফার উপ্রে জাপটাইয়া ধরলাম
ওর মুখের পাশ দিয়া ধইরা জামাটা ছিঁইড়া ফেললাম
আর আমি কোনকিছু কেয়ার করি নাই
রেইপ নাকি দুনিয়ার শেষ এইটা
আরেকবার
থাকতে চাইছি ওইখানে
যে কোন খানে
রিয়েল ভাবে
হ
ওর প্যাণ্টি পইড়া ছিলো
ফ্লোরে
আর আমার ধোন ভিতরে যাইতেছিলো
আমার ধোন আল্লা আমার ধোন যাইতেছিলো ভিতরে
আমি চালর্স
কেউ একজন।
গোসল করা
এর পরে আমরা গোসল করতে পছন্দ করি
(ও যেইরকম গরম পানি পছন্দ করে, আমি তার চাইতে একটু বেশি গরম চাই)
আর তাঁর মুখ সবসময় নরোম আর শান্তির
আর শে প্রথমে আমারে পানি দেয়
আমার বিচিগুলিতে সাবান মাখায়
উপ্রে তুলে
কচলায়,
তারপরে ধোনটারে ধুইয়া দেয়:
“আরে, এইটা তো এখনো খাড়ায়া আছে!”
তারপর তাঁর সবগুলি চুল ওইখানে ঝুঁইকা পড়ে, –
পেটে, পিছনে, ঘাড়ে, ঠ্যাংগুলিতে
আমি গোঙাই গোঙাই গোঙাই,
আর তারপর আমি তারে ধুইয়া দেই…
প্রথমে তাঁর যোনি, আমি
তাঁর পিছনে দাঁড়াই, আমার ধোনটা ওর পাছার দাবনা দুইটার মাঝখানে
আস্তে আস্তে ওর বালগুলাতে আমি সাবান লাগাই,
ধুইয়া দেই খুব ধীরে ধীরে,
যতোটা না দরকার তার চাইতে বেশি টাইম নেই আমি,
তারপরে ওর ঠ্যাংয়ে ধরি, পাছাটাতে
পিছনটাতে, ঘাড়ে, ঘুরাই তারে, চুমা খাই
বুকে সাবান লাগাই, চিপড়াই আর পেটে, ঘাড়ে
ঠ্যাংগুলির সামনেটাতে, হাঁটুতে, পায়ের পাতায়,
আর তারপর আবার যোনিতে, আরেকবার, ভাগ্য ট্রাই করি…
আরেকটা চুমা খাই আমরা, আর শে উইঠা যায় প্রথমে
টাওয়াল জড়ায়, অনেকসময় গান গায় যখন আমি
পানি’র গরম’টা আরেকটু বাড়ায়া দিয়া দাঁড়ায়া থাকি
প্রেমে’র অলৌকিক ভালো সময়টারে ফিল করি
তারপরে আমি বাইর হইয়া আসি…
বেশিরভাগ সময়ই এইটা বিকালবেলা আর শান্ত,
আর ড্রেস পরতে পরতে কথা কই আমরা
কি কি জিনিস হইতে পারতো,
কিন্তু এক লগে থাকাটাই বেশিরভাগ জিনিসের সমাধান কইরা দেয়,
ইন ফ্যাক্ট, সবকিছুরই সমাধান দেয়
আর যতক্ষণ পর্যন্ত জিনিসগুলির সমাধান থাকে
মাইয়া আর পোলাদের হিস্ট্রিতে, এইটা অন্যরকম প্রত্যেকের লাইগা
প্রত্যেকের লাইগা বেটার বা আরেকটু খারাপ কিছু –
আমার লাইগা, এইটা এইরকমের বিশাল একটা ভালো লাগা যে আমি মনে করতে পারি
আর্মিদের মার্চপাস্ট
আর ঘোড়াগুলিরে যারা হাঁটতেছে বাইরের রাস্তায়
আমি পার হইয়া যাইতেছি
পার হইয়া যাইতেছি পেইন, পরাজয় আর অসুখী-থাকার মেমোরিগুলি:
লিন্ডা, তুমি আমারে এই ফিলিংস দিছো,
যখন তুমি এইটা নিয়া যাবা
আস্তে আস্তে নিও আর নিও সহজ কইরা
এমনভাবে বানায়া নিও যেন আমি বাঁইচা থাকতে থাকতে মরতেছি না, মারা যাইতেছি
ঘুমের ভিতর, আমেন।
রাস্তার বিলবোর্ডে একজন পলিটিক্যাল নেতার চেহারা
এইখানে সে আছে:
খুব বেশি হ্যাং-ওভার হয় নাই তার
খুব বেশি ঝগড়া করে নাই সে মাইয়াদের সাথে
খুব বেশি টায়ার পাংচার হয় নাই
কোনদিনও সুইসাইড করার কথা ভাবে নাই
তিনটার বেশি দাঁত নড়ে না
একবেলার খানাও মিস করে নাই
কোনদিন জেলে যায় নাই
কোনদিন প্রেমে পড়ে নাই
৭ জোড়া জুতা আছে
একটা ছেলে পড়ে কলেজে
একটা গাড়ি এক বছরের পুরান
ইন্স্যুরেন্স পলিসিগুলি আছে
খুবই সুন্দর একটা গ্রীণ লন
গার্বেজ ক্যানগুলি ঢাকনা খুব শক্ত কইরা লাগানো
ইলেকশনে জিতবো সে।
বৃষ্টিতে ভিজা একটা ফুলের মতোন
আমি কাটলাম আমার মাঝখানের আঙুলের নখের
মাঝখানটা
ডাইন হাতের
অনেক ছোট কইরা
আর আমি তার যোনির আশেপাশে ঘঁষতে থাকলাম
যখন খাটের উপর শে বইসা ছিল
লোশন মাখতেছিল তার হাতে
মুখে
আর বুকে
গোসল করার পরে।
তারপরে শে সিগ্রেট ধরাইলো:
“এইটার কারণে তুমি থাইমা যাইও না,”
আর ধোঁয়া ছাড়তে লাগলো আর মাখতে লাগলো
লোশন।
আমি ওর যোনি হাতাইতে লাগলাম।
“তোমার কি আপেল লাগবো একটা?” আমি জিগাইছিলাম।
“শিওর,” শে কইছিলো, “আছে নাকি তোমার কাছে?”
কিন্তু আমি ওর উপরে উঠলাম-
শে পাঁক খাইতে শুরু করলো
তারপরে শে গড়াইয়া তাঁর পাশে সরলো,
শে ভিইজা যাইতেছিল আর ওপেন হইতেছিল
বৃষ্টিতে ভিজা একটা ফুলের মতোন।
তখন শে তাঁর পেটের উপর ভর দিয়া শুইলো
আর তাঁর সবচে সুন্দর পাছাটা
তাকাইলো আমার দিকে
আর আমি নিচের দিকে হাত দিয়া
যোনিটা আবার খুঁইজা পাইলাম
শেও নিচের দিকে খুঁজলো আর পাইলো আমার
ধোনটা, শে সইরা গেলো আর পাঁক খাইলো,
আমি উপ্রে উঠলাম
আমার মুখটা ডুইবা গেলো ভীড়ের মধ্যে
লাল চুলের, যেইটা ছড়াইয়া পড়ছিলো
তার মাথা থিকা
আর আমার মোটা হওয়া ধোনটা ঢুইকা গেলো
মিরাকলের ভিতর।
পরে আমরা হাসি-ঠাট্টা করলাম লোশন নিয়া
আর সিগ্রেট নিয়া আর আপেল নিয়া।
তারপরে আমি উইঠা গেলাম আর কিছু চিকেন নিয়া আসলাম
আর চিংড়ি-ভাজা আর ফ্রেঞ্জ ফ্রাইস আর বান
আর ম্যাস-পটেটো আর গ্রেভি আর
কলসলো, আর আমরা খাইছিলাম। শে আমারে কইছিল
কতো ভালো তাঁর লাগছিলো আর আমি তারে কইছিলাম
আমার কতো ভালো লাগছিলো আর আমরা খাইছিলাম
চিকেন আর চিংড়ি-ভাজা আর
ফ্রেঞ্জ ফ্রাইস আর বানগুলা আর
ম্যাস-পটেটো আর গ্রেভিটা আর
কল সলো’টাও।
চুদায়া মুড়ি খাও
আমি আসছি, শে কইলো, তোমারে কওয়ার লাইগা
যে, এইটা এইটুকই। আমি ফাইজলামি করতেছি না। এইটা
শেষ। এইটা এইটুকই।
আমি সোফা’তে বইসা দেখতেছি শে বান্ধতেছে
তার লম্বা লাল চুলগুলি আমার বেডরুমের
আয়নার সামনে দাঁড়ায়া।
শে তাঁর চুলগুলি মোচড়াইয়া জড়ো করলো আর
মুঠ কইরা তার মাথার উপ্রে তুললো-
শে তার চোখগুলিরে তাকাইতে দিলো
আমার চোখগুলির দিকে-
তারপর চুলগুলি ফালায়া দিলো শে আর
তাঁর মুখের সামনে দিয়া পইড়া যাইতে দিলো।
আমরা বিছনায় গেলাম আর জড়ায়া ধরলাম তারে
পিছন থিকা, কোন কথা না বইলা
আমার হাতগুলি দিয়া তাঁর গলা পেঁচায়া ধরলাম
তাঁর কব্জি আর হাতগুলি আমি ছুঁইলাম
তাঁর কনুইগুলি পর্যন্ত
আমি ফিল করলাম
তার পরে আর না।
শে উইঠা বসলো।
এইটা এইটুকই, শে কইলো,
চুদায়া মুড়ি খাও। তোমার
কাছে রাবার ব্যান্ড আছে কোন?
আমি জানি না।
এইখানে একটা আছে, শে কইলো,
এইটা দিয়াই হবে। ঠিকাছে,
যাই গা আমি।
আমি উইঠা বসলাম আর তারে আগায়া দিলাম
দরজা পর্যন্ত
জাস্ট যাওয়ার আগে আগে
শে কইলো,
আমি চাই তুমি আমারে
কিছু হাই-হিল জুতা কিইনা দাও
সরু লম্বা হিলের পা-ওলা,
কালো হাই-হিল জুতা।
না, আমার লাগবো
লালগুলি।
সিমেন্টের ওয়াকওয়েতে নাইমা যাওয়া পর্যন্ত আমি দেখলাম তারে
গাছগুলির নিচে
শে ঠিকঠাকমতো হাঁটতেছে আর
যখন লালপাতাগুলি ঝইরা পড়তেছে সূর্যের আলোতে
আমি দরজাটা বন্ধ কইরা দিলাম।
আর্ট
যখন
আত্মা
শুকায়
ফর্ম
টা
ভাইসা উঠে
জাঙ্ক
একটা আন্ধার বেডরুমে ৩টা জাঙ্কির লগে বইসা রইছি
ফিমেইল ওরা।
ব্রাউন পেপার ব্যাগগুলি ট্রাশে ভরা
সবখানে।
এখন দুপুর দেড়টা বাজে।
অরা কথা কইতেছে পাগলা-গারদ নিয়া
হসপিটাল নিয়া।
অরা একটা ফিক্সের লাইগা ওয়েট করতেছে।
অদের কেউ কোন কাজকাম করে না।
রিলিফ আর ফুডস্ট্যাম্প আর
মেডি-কল এর উপরে আছে অরা।
পোলাগুলি হইতেছে ব্যবহার করার জিনিস
ফিক্স হওয়ার লাইগা।
এখন দুপুর দেড়টা বাজে
আর বাইরে ছোটগাছগুলি বাইড়া উঠতেছে।
অদের বাচ্চাগুলি এখনো স্কুলে।
মাইয়াগুলি সিগ্রেট খাইতেছে
আর উদাসীন হয়া টানতেছে বিয়ার আর
টাকিলা
যা আমি কিইনা আনছিলাম।
আমি অদের লগে বইসা আছি
আমি আমার ফিক্সের লাইগা ওয়েট করতেছি:
আমি হইতেছি একটা কবিতার জাঙ্কি।
অরা এজরা’রে রাস্তা থিকা উঠায়া নিয়া গেছিলো
একটা কাঠের খাঁচায়।
ব্লেক আছিলো খোদার লাইগা।
ভিয়ন আছিলো একটা ছিনতাইকারী।
লোরকা ধোন চুষতো।
টি.এস.এলিয়ট কাম করতো একটা ক্যাশিয়ারের খাঁচায়।
বেশিরভাগ কবি-ই হইতেছে রাজহাঁস,
সারস।
আমি বইসা রইছি ৩টা জাঙ্কির লগে
এখন দুপুর দেড়টা বাজে।
অরা উপরের দিকে ধোঁয়া ছাইড়া মুততেছে।
আমি ওয়েট করি।
মইরা যাওয়াটা কোন হাতি না।
মাইয়াগুলির একজন কইলো যে, তার পছন্দ হইছে
আমার হলুদ শার্ট।
আমি সহজ ভায়োলেন্সে বিশ্বাস করি।
এইটা হইলো
তার অল্প কিছু।
আমি প্রেমে পড়ছি
শে তো কচি, কইছিলো শে,
কিন্তু আমার দিকে দেখো,
আমার পায়ের গোড়ালিগুলি সুন্দর,
আর আমার কব্জিগুলির দিকে তাকাও, আমার
কব্জিগুলিও সুন্দর
ওরে আল্লা,
আমি ভাবছিলাম সবকিছু ঠিকঠাকমতোন চলতেছে,
আর এখন শে আবার ফিরা আসছে,
যখনই শে ফোন করে তুমি ক্রেজি হয়া যাও,
তুমি আমারে কইছিলা সবকিছু ওভার
তুমি আমারে কইছিলা এইটা শেষ হয়া গেছে,
শোনো, আমি এনাফ সময় বাঁইচা রইছি
একজন ভালো মেয়েমানুষ হওয়ার লাইগা,
তোমার কেন একটা খারাপ মেয়েমানুষ লাগবে?
তুমি টর্চাড হইতে চাও, তাই না?
তুমি ভাবো যে লাইফটা পইচা যাওয়া একটা জিনিস, যদি কেউ তোমারে
রদ্দিমালের মতো ইউজ করে, তাইলে সেইটা ঠিকাছে,
তাই না?
বলো আমারে, এইটা কি সেই জিনিস? তুমি কি চাও একটা
গু’য়ের দলার মতোন ট্রিটেট হইতে?
আর আমার পোলা, আমার পোলা তোমার লগে দেখা করতে গেছিলো।
আমি আমার পোলারে কইছি
আর সব প্রেমিকদেরকে বাদ দিছি।
একটা ক্যাফে’তে খাড়ায়া আমি চিল্লায়া চিল্লায়া কইছি
আ মি প্রে মে প ড় ছি
আর এখন তুমি আমারে বেক্কল বানাইতেছো…
আমি সরি, আমি কইছিলাম, আমি সত্যি সত্যি সরি।
আমারে জড়ায়া ধরো, শে কইছিলো, তুমি কি একটু জড়ায়া ধরবা আমারে?
আমি কখনোই এইসব জিনিসের চক্করে পড়ি নাই আগে, আমি কইছিলাম,
এইরকম ট্রায়াঙ্গালারগুলিতে…
শে উইঠা একটা সিগ্রেট জ্বালাইছিলো, থরথর কইরা কাঁপতেছিলো
শে। আগ পিছ করতেছিলো আর ওয়াইল্ড আর ক্রেজি হয়া যাইতেছিল। ছোট্ট
একটা বডি ওর। হাতগুলি পাতলা, খুবই পাতলা আর যখন
শে চিল্লাইলো আর আমারে মারা শুরু করলো, আমি ওর
কব্জিগুলি ধরলাম আর তারপর ওর চোখের দিকে তাকাইলাম: খুবই কষ্ট পাওয়া,
একশ বছরের পুরানা সত্যি এইটা। আমি ভুল করছিলাম আর অসৎ আর
নোংরা আমি। যা কিছু আমি শিখছিলাম তার সবকিছুই বিনাশ হয়া গেছিলো।
আমার মতো ফাউল আর কোন প্রাণী নাই দুনিয়ায়
আর আমার সবগুলি কবিতা আছিলো
মিথ্যা।
কোনো ঝামেলা নাই
আমি আমার গার্লফ্রেন্ডরে তোমার লাস্ট কবিতা পড়ার প্রোগ্রামে নিয়া গেছিলাম,
শে কইছিলো।
তাই, তাই? আমি জিগাইছিলাম।
শে তো ইয়াং আর সুন্দরী, শে কইছিলো।
আর? আমি জিগাইছিলাম।
শে পছন্দ করে নাই তোমার
হাব-ভাব।
তখন শে এলাইয়া পড়ছিলো কৌচের উপর
আর টাইনা খুললো ওর
বুটগুলি।
আমার ঠ্যাংগুলি অতো সুন্দর না।
শে কইছিলো।
ঠিকাছে, আমি ভাবছিলাম, আমার কবিতাগুলিও তো এতো ভালো
কিছু না; ওরও নাই খুব সুন্দর
ঠ্যাং।
দুইটা মিলছে ভালোই।
অলমোস্ট বানানো একটা কবিতা
আমি দেখি তুমি পানি খাইতেছো একটা ঝর্ণা থিকা, তোমার পিচ্চি
নীল হাত দিয়া, না, তোমার হাতগুলি তো পিচ্চি না
অরা ছোট, আর ঝর্ণাটা আছিলো ফ্রান্সে
যেইখান থিকা তোমার শেষ চিঠিটা তুমি লিখছিলা আর
আমি উত্তর দিছিলাম আর তোমার কোন খবর পাই নাই এর পরে।
‘আল্লা’রে নিয়া আর ফেরেশতাদের নিয়া’ মাথা-খারাপ করা
কবিতা লিখতা তুমি, সব বড় হাতের অক্ষর দিয়া, আর তুমি
ফেমাস সব আর্টিস্টদের চিনতা আর অদের বেশিরভাগই
আছিলো তোমার লাভার, আর আমি ফিরতি চিঠি লিখছিলাম, ঠিকাছে সেইটা,
আগায়া যাও, তাদের লাইফে ঢুইকা পড়ো, আমি জেলাস না
কারণ আমরা তো কোনদিন দেখা করি নাই। একবার নিউ অর্লিন্সে
খালি কাছাকাছি চইলা আসছিলাম আমরা, হাফ ব্লক দূরে, কিন্তু আমাদের কখনোই দেখা হয় নাই, কখনোই
আমার টাচ করি নাই নিজেদেরকে। তো, তুমি তোমার ফেমাসদের সাথে চইলা গেছিলা আর লিখছিলা
ফেমাসদেরকে নিয়া, আর, অবশ্যই, তুমি দেখতে পাইছিলা যে
ফেমাসরা খালি চিন্তায় থাকে
অদের ফেইম নিয়া – অদের সাথে থাকা
বিছনায় কচি সুন্দর মাইয়াদেরকে নিয়া না, যারা অদেরকে এইটা দেয়া, আর তখন
সকালবেলা জাইগা উইঠা অরা বড় হাতের অক্ষরে কবিতা লেখে
‘আল্লা’রে নিয়া আর ফেরেশতাদের নিয়া’। আমরা জানি আল্লা মইরা গেছে, অরা কইছে
আমরারে, কিন্তু তোমার কথা শোনার পরে শিওর ছিলাম না আমি। হইতে পারে
বড় হাতের অক্ষরের লাইগা এইরকম মনে হইছিলো আমার। তুমি আছিলা
বেস্ট ফিমেইল পোয়েটদের একজন আর আমি পাবলিশারদের কইছিলাম,
সম্পাদকদের, “উনারে, ছাপেন উনারে, উনি পাগল একটা, কিন্তু উনার
ম্যাজিক আছে। উনার আগুনে কোন মিথ্যা নাই।” আমি তোমারে ভালোবাসছিলাম
যেইভাবে একজন বেটা একজন বেটি’রে কোনদিন না ছুঁইয়া ভালোবাসে, খালি
লেখে, অল্পকিছু ছবি-টবি রাখে। আমি হয়তো তোমারে
আরেকটু বেশি ভালোবাসতে পারতাম যদি আমি একটা ছোট্ট রুমে বইসা
একটা সিগ্রেট রোল করতে থাকতাম আর বাথরুমে তোমার মুতার আওয়াজ শুনতে পাইতাম,
কিন্তু এইরকম কিছু ঘটে নাই। তোমার চিঠিগুলি আরো করুণ হইতে থাকলো।
তোমার প্রেমিকরা তোমারে বিট্রে করছিলো। বাবু, আমি ফিরতি চিঠিতে লিখছিলাম, সব
প্রেমিকেরা বিট্রে করে। এইটাতে কোন কাজ হয় নাই। তুমি বলছিলা
তোমার কান্দার একটা বেঞ্চ আছে আর সেইটা ছিল একটা ব্রীজের পাশে আর
ব্রীজটা আছিলো একটা নদীর উপরে আর তুমি বইসা কানতা
ওই বেঞ্চটাতে, প্রতি রাতে আর ফুঁপাইয়া ফুঁপাইয়া কানতা প্রেমিকদের লাইগা, যারা
তোমারে কষ্ট দিছে আর ভুইলা গেছে তোমারে। আমি ফিরতি চিঠি লিখছিলাম কিন্তু কখনোই
শুনি নাই আর কিছু। এক ফ্রেন্ড আমারে লিখছিলো তোমার সুইসাইড করার কথা
এইটা ঘটার ৩/৪ মাস পরে। যদি তোমার লগে দেখা হইতো আমার
আমি হয়তো তোমার লগে বাজে কাজই করতাম অথবা তুমিও
আমার লগে। এইভাবেই বেস্ট আছিলো এইটা।
এক্সিলেটরে দেখা মেয়েটা
এক্সিলেটরে যখন যাইতেছি আমি
একটা ইয়াং পোলা আর একটা সুন্দরী ইয়াং মাইয়া
আমার সামনে আছিলো।
স্কিন-টাইট প্যান্ট আর ব্লাউজ পরা আছিলো শে।
যখন উপ্রে উঠতেছি আমরা, শে তার একটা ঠ্যাং
উপরের সিঁড়িতে রাখছে আর আরেকটা ঠ্যাং নিচে
সুন্দর একটা শেইপ দেখা যাইতেছে।
ইয়াং পোলাটা চারদিকে তাকাইতেছে, সে চিন্তায় পড়ছে
সে আমার দিকে তাকাইলো।
আমি অন্যদিকে তাকাইলাম।
না, বাচ্চা পোলা, আমি তাকাইতেছি না,
আমি তোমার মাগি’র পিছন দিকটা দেখতেছি না।
চিন্তা কইরো না, আমি তাঁরে রেসপেক্ট করি আর তোমারেও রেসপেক্ট করি।
ইন ফ্যাক্ট, আমি সবকিছুরেই রেসপেক্ট করি; যেই ফুল ফুটে, কচি মাইয়াগুলি,
বাচ্চারা, সব জন্তু-জানোয়ার, আমরার মহা মূল্যবান জটিল ইউনিভার্স, প্রত্যেক’রে আর সবকিছুরে।
আমি বুঝতে পারি ইয়াং পোলাটার ভাল্লাগতেছে এখন, আর আমি খুশি এর লাইগা।
অর সমস্যাটা আমি জানি: মাইয়াটার একটা মা আছে, একটা বাপ আছে, মেবি একটা বইন অথবা ভাই আছে,
আর নিঃসন্দেহে অনেকগুলি খারুজ রিলেটিভ আছে
আর শে নাচতে আর ফ্লার্ট করতে পছন্দ করে আর শে সিনেমা দেখতে যাইতে পছন্দ করে আর অনেকসময়
শে কথা কয় আর চাবাইতে থাকে একই সময়ে আর
না-খাস্তা টিভি শো-গুলি শে খুবই পছন্দ করে আর শে নায়িকাদের মতো দেখতে আর শে
সবসময় দেখতে এতোটা ভালো না আর তাঁর আছে একটা
বাজে-ধরণের রাগ আর অনেকসময় শে পুরা পাগলা হয়া যায়
আর শে টেলিফোনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কথা কইতে পারে আর সামনের কোন সামারে শে ইউরোপে যাইতে চায়
আর শে চায় যে তুমি তারে একটা নতুন-নতুন মার্সিডিজ কিইনা দাও আর শে প্রেমে পড়ছে
মেল গিবসনের আর তার মা হইতেছে একটা
মাতাল আর তাঁর বাপ একটা রেসিস্ট
আর অনেকসময় যখন শে বেশি মদ খাইয়া ফেলে
নাক ডাকে শে আর মাঝে-মধ্যে বিছনায় শে থাকে ঠান্ডা আর
তাঁর এক গুরু আছে, একটা লোক যার ক্রাইস্টের সাথে মোলাকাত হইছিল
একটা মরুভূমিতে ১৯৭৮-এ, আর শে একজন ড্যান্সার হইতে চায় আর তাঁর এখন কোন চাকরি নাই আর শে
প্রতিবার যখন শে চিনি বা চিজ খায়
তাঁর মাইগ্রেনের মাথা-ব্যথা শুরু হয়।
আমি দেখি সে তাঁরে উপরে নিয়া যাইতেছে
এক্সিলেটরে, তার হাত
মাইয়াটার কোমরে ধরা, যেন প্রটেক্ট করতেছে, ভাবতেছে সে
লাকি,
ভাবতেছে সে আসলেই স্পেশাল পোলা
ভাবতেছে দুনিয়াতে আর কারো এইটা নাই
যেইটা তার আছে।
আর ঠিকই, কঠিনভাবে
কঠিনভাবে ঠিক ভাবতেছে, তার হাত দিয়া
জড়ায়া ধরছে
গরম বালতিটা
পেটের নাড়ি-ভূঁড়ি,
ব্লাডার,
কিডনিগুলি,
ফুসফুসগুলি,
লবণ
সালফার
কার্বন ডাই অক্সাইড
আর
কফ।
মুড়ি খাও
গিয়া
[vimeo id=”163239886″]
নীলপাখি
আমার অন্তরে আছে এক নীলপাখি
যে বাইর হয়া যাইতে চায় খালি
কিন্তু আমি দেই না তারে
আমি কই, থাকো তুমি, আর কাউরেই তো
দেখতে দিবো না
তোমারে।
আমার অন্তরে আছে এক নীলপাখি
যে বাইর হয়া যাইতে চায় খালি
কিন্তু আমি তার মুখে হুইস্কি ঢাইলা দেই আর খাওয়াই
সিগ্রেটের ধোঁয়া
আর মাগিগুলা আর বারটেন্ডাররা
আর মুদি দোকানের কেরাণীগুলা
কখনোই জানে না যে
সে
আছে এইখানে।
আমার অন্তরে আছে এক নীলপাখি
যে বাইর হয়া যাইতে চায় খালি
কিন্তু আমি দেই না তারে
আমি কই,
থাকো না, তুমি কি আমার লগে
কাইজ্জা করতে চাও?
নষ্ট করতে চাও তুমি
কাজগুলা?
তুমি কি চাও আমার বইয়ের বেচা কইমা যাক
ইউরোপে?
আমার অন্তরে আছে এক নীলপাখি
যে বাইর হয়া যাইতে চায় খালি
কিন্তু আমি খুবই চালাক, আমি তারে বাইর হইতে দেই
মাঝে মধ্যে রাতের বেলায়
যখন সবাই ঘুমায়া পড়ে।
আমি কই, আমি জানি তুমি তো আছো এইখানে
তুমি মন-খারাপ
কইরো না।
তারপর আমি তারে ফিরায়া নিয়া আসি,
কিন্তু সে গান গায় একটু
ওইখানে, আমি তো চাই না সে
মইরা যাক
আর ঘুমাই আমরা একসাথে এমনভাবে
যেন
এইটা আমাদের
গোপন আঁতাত
আর এইটা এতোটাই সুন্দর যে
একজন মানুষ
কাইন্দা দিতে পারে, কিন্তু আমি
কান্দি না, কান্দো নাকি
তুমি?